Advertisement
০৪ অক্টোবর ২০২৪
police

ফোন নিয়ে বিবাদে স্ত্রীকে খুন, তিন সপ্তাহ পরে ধৃত স্বামী

স্ত্রীকে খুনের অভিযোগে স্বামীকে গ্রেফতার করল পশ্চিম বন্দর থানার পুলিশ। খুনের ঘটনাটি ঘটেছিল গত ২৬ জানুয়ারি।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০৬:৩৯
Share: Save:

স্ত্রীকে খুনের অভিযোগে স্বামীকে গ্রেফতার করল পশ্চিম বন্দর থানার পুলিশ। খুনের ঘটনাটি ঘটেছিল গত ২৬ জানুয়ারি। ২১ দিন ফেরার থাকার পরে মঙ্গলবার গভীর রাতে সোহেল রানা (২৮) নামে ওই ব্যক্তিকে মোমিনপুর থেকে গ্রেফতার করে তদন্তকারীদের একটি বিশেষ দল। বুধবার সোহেলকে আলিপুর আদালতে তোলা হলে আগামী পয়লা মার্চ পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পশ্চিম বন্দর থানার ব্রুক লেনে ‘ক্যালকাটা ডক লেবার বোর্ডের’ আবাসনে থাকত সোহেল। তার সাত এবং পাঁচ বছরের দু’টি মেয়ে রয়েছে। নির্মীয়মাণ বাড়িতে বৈদ্যুতিক মিস্ত্রির কাজ করত সোহেল। পুলিশ জানিয়েছে, গত ২৬ জানুয়ারি রাতে ওই আবাসন থেকে একটি দেহ উদ্ধার হয়েছে বলে থানায় ফোন আসে। পুলিশ পৌঁছে দেখে, আবাসনের একটি ঘরে বিছানার উপরে পড়ে আছে সোহেলের স্ত্রী নাসিমা বিবির (২৬) দেহ।

ময়না-তদন্তের রিপোর্টে জানা যায়, শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে নাসিমাকে। গলায় হাতের ছাপ পাওয়া যায়। মৃতদেহে মারধরের একাধিক চিহ্নও ছিল বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়। ঘটনার পর থেকেই খোঁজ মিলছিল না সোহেলের। থানার পাশাপাশি ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন হোমিসাইড শাখার গোয়েন্দারাও। ওই আবাসনের অন্য বাসিন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন তাঁরা।

তাতেই পুলিশ জানতে পারে, নাসিমা স্মার্ট ফোন হাতে নিয়েছেন দেখলেই তাঁকে মারধর করত সোহেল। ২৬ জানুয়ারি বাড়ি ফিরে সে দেখে, খেতে বসেছেন নাসিমা। হাতে মোবাইল ফোন। তা দেখে দুই মেয়েকে বাইরে খেলতে যেতে বলে সোহেল। এর পরে কেন নাসিমার হাতে ফোন ছিল, তা নিয়ে তাঁকে ফের মারতে শুরু করে সে। মারের চোটে খাওয়া শেষ করতে পারেননি নাসিমা। এর পরে ঘরের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করে বেরিয়ে যায় সোহেল। সঙ্গে নিয়ে যায় নিজের এবং স্ত্রীর মোবাইলটি। পরে ওই দম্পতির এক মেয়ে দরজা খুলে ঢুকে মায়ের দেহ দেখে।

পুলিশ সূত্রের খবর, ফেরার হয়ে প্রথমেই নিজের মোবাইলটি ফেলে দিয়েছিল সোহেল। ফলে তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। ওই মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন ধরে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, সেটি পড়ে আছে ব্রুক লেনের কাছে একটি পরিত্যক্ত জায়গায়। পাশাপাশি, নাসিমার মোবাইলটিও পরিত্যক্ত জায়গা থেকে পাওয়া যায়। এরই মধ্যে পেরিয়ে যায় তিন সপ্তাহ।

পুলিশের দাবি, জেরায় ধৃত জানিয়েছে, রাগের মাথায় সে স্ত্রীকে খুন করেছে। তার পরে কিছু দিন কাটায় লক্ষ্মীকান্তপুরে। সম্প্রতি কাজ খুঁজতে কলকাতার কয়েকটি নির্মীয়মাণ বাড়িতে এসেছিল সে। সেই সূত্রেই গিয়েছিল মোমিনপুরে। খুনের পরে স্ত্রীর ফোনটি সঙ্গে নিয়ে বেরোনোর প্রসঙ্গে সোহেল বলেছে, ‘‘ফোনে সত্যিই ও কারও সঙ্গে গল্প করত কি না, সেটা দেখার ছিল। কিন্তু লক খুলতে পারিনি। ওই ফোন থেকেই বিপদ বুঝে পরে ফেলে দিয়েছিলাম।’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

arrest police
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE