প্রতীকী ছবি।
বধূ-হত্যার একটি ঘটনায় মৃতার স্বামী ও শাশুড়িকে সোমবার দোষী সাব্যস্ত করলেন আলিপুর আদালতের অতিরিক্ত দায়রা বিচারক পার্থপ্রতিম চক্রবর্তী।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১০ সালের মার্চ মাসে রবীন্দ্রনগর থানা এলাকার বাসিন্দা জানলিসা বেগম নামে এক তরুণীর সঙ্গে প্রতিবেশী যুবক হাসান মোল্লা ওরফে জিকোর বিয়ে হয়। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই পণের দাবিতে ওই তরুণীর উপরে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু হয়েছিল। ওই বছরেরই ৭ অগস্ট সন্ধ্যায় শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে জিকো জানায়, তার স্ত্রী অসুস্থ। জিকোর কথায় সন্দেহ হওয়ায় জানলিসার পরিজনেরা তাঁর শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে দেখেন, দোতলার ঘর থেকে পোড়া গন্ধ আসছে। ঘরের ভিতরে গেলে দেখা যায়, জানলিসার অগ্নিদগ্ধ মৃতদেহ পড়ে রয়েছে। এর পরেই মৃতার স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ির বিরুদ্ধে রবীন্দ্রনগর থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়।
ঘটনার তদন্ত করে চার্জশিট জমা দেয় পুলিশ। এর পরেই মামলার বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়। তবে বিচার চলাকালীনই অভিযুক্তেরা জামিন পেয়ে যায়। জানলিসার শ্বশুর ইয়াসিন মোল্লারও মৃত্যু হয় বিচার শেষ হওয়ার আগেই।
আলিপুর আদালতের মুখ্য সরকারি আইনজীবী রাধাকান্ত মুখোপাধ্যায় এ দিন বলেন, ‘‘মৃতার স্বামী হাসান মোল্লা ও শাশুড়ি সানোয়ারা বিবিকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। এ দিন ওই দু’জন আদালতে উপস্থিত ছিল। বিচারকের নির্দেশ অনুযায়ী তাদের জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। বুধবার এই মামলার সাজা ঘোষণা করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy