Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
Manhole

লোক নামিয়ে ম্যানহোল সাফাই সেই চলছেই

বেআইনি: পাঁচ নম্বর সেক্টরে ম্যানহোলের ভিতরে নেমে এ ভাবেই চলছে সাফাইয়ের কাজ। নিজস্ব চিত্র

বেআইনি: পাঁচ নম্বর সেক্টরে ম্যানহোলের ভিতরে নেমে এ ভাবেই চলছে সাফাইয়ের কাজ। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০২:১২
Share: Save:

রাস্তার ধারে ম্যানহোলের ভিতরে কর্মীরা ঢুকে গিয়ে সাফাইয়ের কাজ করছেন। এমন ছবি দেখা যাচ্ছে সল্টলেকের তথ্যপ্রযুক্তি তালুক পাঁচ নম্বর সেক্টরে।

অথচ ম্যানহোলের মধ্যে মানুষকে নামিয়ে সাফাইয়ের কাজ করার ক্ষেত্রে রয়েছে বিধিনিষেধ। তা জানা সত্ত্বেও কেন এমন কাজ করা হল তাই নিয়ে জোর প্রশ্ন উঠেছে। পাঁচ নম্বর সেক্টরের প্রশাসনিক সংস্থা নবদিগন্ত শিল্পনগরী কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, অভিযোগ খতিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।

পাঁচ নম্বর সেক্টরের কলেজ মোড়ের কাছে ম্যানহোলের ভিতরে এক কর্মী ঢুকে সাফাইয়ের কাজ করছিলেন। শুধু একটি নয়, একাধিক ম্যানহোলের ঢাকনা খুলে সাফাইয়ের কাজ চলছিল। তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীদের একাংশের অভিযোগ, ‘‘রাজ্য প্রশাসন থেকে এ ভাবে কাজ করার কথা নিষিদ্ধ ঘোষণা করলেও পাঁচ নম্বর সেক্টরে তা চালু থাকে কী ভাবে? কোনও দুর্ঘটনা ঘটে গেলে তার দায় কে নেবে?

নবদিগন্ত সূত্রের খবর, পয়ঃপ্রণালী নালা, সেপটিক ট্যাঙ্কে নির্দেশ মেনে লোক নামিয়ে পরিষ্কারের কাজ করা হয় না। যন্ত্রের সাহায্যেই করা হয়। জল সরবরাহের পাইপলাইনেও যন্ত্রের সাহায্য নেওয়া হয়। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে এমন পলি জমে যায় যে যন্ত্র দিয়ে তা তোলা সম্ভব হয় না। সে কারণে কিছু ক্ষেত্রে লোকজন নামিয়ে কাজ করাতে হয়। তবে এ ক্ষেত্রে কী হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হবে।

বিধাননগর পুরসভার এক পুরকর্তা জানান, জল সরবরাহের নালা সাফাইয়ের ক্ষেত্রে তেমন কোনও বিধিনিষেধ না থাকলেও যন্ত্রের সাহায্যেই সাফাই করা হয়।

নবদিগন্ত সূত্রের খবর, নিকাশি নালা কিংবা জল সরবরাহের নালা পরিষ্কারের ক্ষেত্রে ঠিকাদার সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীদের একাংশের অভিযোগ, কর্মীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য দস্তানা, মাস্ক-সহ নির্দিষ্ট পোশাক থাকা প্রয়োজন। কিন্তু ওই সব কর্মীদের খালি হাতে-পায়ে কাজ করতে দেখা গিয়েছে।

যন্ত্র থাকতেও কেন এমন হল?

ওই কর্মীদের একাংশ জানান, পাঁক এবং আবর্জনা জমে নালা অনেক ক্ষেত্রে আটকে যায়। যন্ত্র দিয়ে সব সময়ে পুরোটা সাফাই করা যায় না। এ দিন কলেজ মোড় থেকে রিং রোডের রাস্তায় কাজ হয়েছে বলে নবদিগন্ত সূত্রের খবর।

সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি তথা রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান অশোক গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কোনও রকমের সুরক্ষা ছাড়া এমন কাজ অমানবিক, মানবাধিকার বিরোধী। প্রশাসনের অবিলম্বে দেখা প্রয়োজন।’’

নবদিগন্তের এক শীর্ষ আধিকারিকের কথায়, ‘‘এমন করার কথাই নয়। যন্ত্রের সাহায্যেই নালার ভিতরে সাফাইয়ের কাজ হয়। কেন এমন হল সে বিষয়ে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Manhole Salt Lake Human
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy