সম্পত্তিগত বিবাদকে ঘিরে বহু বছর অসমাপ্ত অবস্থায় পড়ে ছিল একতলা একটি বাড়ি। সেটির চারপাশে গজিয়ে উঠেছিল আগাছার জঙ্গল। সেই জঙ্গল দিনকয়েক আগে সাফাই হয়েছিল। বৃহস্পতিবার ওই একতলা বাড়ি থেকে উদ্ধার হল মানুষের খুলি ও হাড়গোড়। কসবা থানার পুলিশ সেগুলি উদ্ধার করেছে। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় কমলা পার্ক নামে ওই এলাকায়। উদ্ধার হওয়া খুলি ও হাড় ফরেন্সিক পরীক্ষায় পাঠানো হয়েছে।
এ দিন ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায়, নির্মীয়মাণ বাড়িটি অনেক বছর ধরে অসমাপ্ত অবস্থায় পড়ে ছিল। যার জেরে বাড়িটির চত্বরে গজিয়ে গিয়েছিল আগাছার জঙ্গল। জমে ছিল আবর্জনা। বাড়ির মালিকের এক আত্মীয় সামনেই একটি ফ্ল্যাটবাড়িতে থাকেন। তাঁরা জানান, ডেঙ্গির কারণে মাঝে মাঝে বাড়িটি পরিষ্কার করানো হয়। দিনকয়েক আগেও সাফাই হয়েছিল। দেবজিৎ সিংহ নামে বাড়ির মালিকের এক আত্মীয় বললেন, ‘‘সম্পত্তিগত একটি সমস্যা ঘিরে বাড়িটি ওই অবস্থায় পড়ে ছিল। সেই সমস্যা মিটে গিয়েছে। কিন্তু এর মধ্যে এ দিন সেখান থেকে খুলি ও হাড়গোড় উদ্ধার হয়।’’
লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার বাড়ির মালিক পুরসভার কর্মীদের সাফাইকাজের জন্য ডাকেন। পুরসভার কর্মীরা সেই কাজ করার সময়ে সেখানে হাড়গোড় এবং মাথার খুলির অংশ পড়ে থাকতে দেখেন। দ্রুত তাঁরা কাজ বন্ধ করে বাড়ির মালিককে বিষয়টি জানান। এর পরে বাড়ির মালিক ওই রাতেই কসবা থানায় খবর দেন। রাতেই ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। এর পরে বৃহস্পতিবার দুপুরে খুলি ও হাড়গোড় উদ্ধার করা হয়। সেখান থেকে একটি খুলি এবং হাতের হাড়ের অংশ উদ্ধার হয়েছে। খুলিটির পিছনের অংশ ভাঙা ছিল।
কে বা কারা হাড় ও খুলি ওই জায়গায় ফেলে গেল, তা নিয়ে ধন্দে লালবাজারের গোয়েন্দারা। পুলিশ অবশ্য জেনেছে, ঘটনাস্থল থেকে কয়েকশো মিটার দূরেই একটি কবরস্থান রয়েছে। সেখান থেকে কোনও ভাবে ওই খুলি ও হাড়গোড় এসেছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। একই সঙ্গে সিসি ক্যামেরার ফুটেজও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। উল্লেখ্য, বুধবার সল্টলেকের সংযুক্ত এলাকা তারুলিয়াতেও একই ভাবে খুলি ও একটি পায়ের হাড় উদ্ধার হয়েছিল। সেখানেও খুলিটি ভাঙা ছিল।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)