প্রতীকী ছবি।
সঙ্গী ধরা পড়েছেন দেখে ব্যাগ রেখে চুপিচুপি বিমানে ওঠার চেষ্টা করছিলেন ইম্ফলের বাসিন্দা প্রবীণ বানু। বুধবার সকালে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে তাঁকে ধরে ফেলে সিআইএসএফ। তিনি ও তাঁর সেই সঙ্গী মমতাজের কাছ থেকে দু’লক্ষ মার্কিন ডলার পাওয়া গিয়েছে বলে কলকাতা বিমানবন্দর সূত্রের খবর। ভারতীয় মুদ্রায় যার মূল্য ১ কোটি ৩৭ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা।
এ দিন সকালের উড়ানে ইম্ফল যাওয়ার পথে প্রথমে মমতাজের হাতব্যাগের গোপন খোপ থেকে ৩৩ হাজার ডলার পাওয়া যায়। তাঁকে দাঁড় করিয়ে রেখে অফিসারেরা যখন ব্যাগ খুলে ডলার বার করছিলেন, মমতাজের সঙ্গী প্রবীণ তখন নিজের হাতব্যাগ এক্স-রে করতে দেন। কিন্তু মমতাজ ধরা পড়েছেন দেখে তিনি সেই ব্যাগ না নিয়েই বোর্ডিং গেটের দিকে চলে যান। সিআইএসএফ জানিয়েছে, প্রবীণের পরনে ছিল বোরখা।
প্রবীণের ফেলে যাওয়া ব্যাগেও ডলার পেয়ে অফিসারেরা যখন তার মালিকের খোঁজ করতে শুরু করেন, তখন সেখানে দাঁড়ানো মমতাজ দাবি করেন, দ্বিতীয় ব্যাগটিও তাঁর। অফিসারদের দাবি, নিজে যখন ধরা পড়েই গিয়েছেন, তখন সঙ্গীকে বাঁচাতে মমতাজ দ্বিতীয় ব্যাগের দায়িত্বও নিতে চাইছিলেন নিজের কাঁধে। অথচ, এক জন যাত্রীকে দু’টি হাতব্যাগ নিয়ে যেতে দেওয়া হয় না। সন্দিহান অফিসারেরা সিসিটিভি ফুটেজ দেখে জানতে পারেন, বোরখা পরা এক মহিলা দ্বিতীয় ব্যাগটিকে রেখে চলে গিয়েছেন।
বোর্ডিং গেট থেকে ধরে আনা হয় প্রবীণকে। জানা যায়, দু’জনের কাছে মোট চারটি বড় ব্যাগ রয়েছে, যা ইতিমধ্যেই বিমানের পেটে চালান করে দেওয়া হয়েছে। ওই চারটি ব্যাগ এনে সেগুলি খুলতেই তাদের গোপন কুঠুরি থেকেও থরে থরে ডলার মেলে।
গোয়েন্দাদের দাবি, উত্তর-পূর্ব ভারত হয়ে প্রচুর মাদক পাচার হচ্ছে কলকাতা তথা পশ্চিমবঙ্গে। মায়ানমার-মণিপুর সীমান্তের মোরে শহর দিয়ে ভারতে ঢুকছে মাদক ও সোনা। যা ছড়িয়ে পড়ছে দেশের অন্যত্র। যাঁরা মাদক ও সোনা নিয়ে আসছেন, তাঁরা এখানে মাল নামিয়ে দিয়ে চলে যাচ্ছেন। মমতাজেরা সেই মাদক ও সোনা বিক্রির টাকা জোগাড় করে তা তুলে দিচ্ছেন পাচারকারীদের হাতে।
বুধবার ওই দু’জনকে ডলার-সহ তুলে দেওয়া হয়েছে শুল্ক অফিসারদের হাতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy