Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

মিছিল সপ্তাহের শেষ দিনেও যানজট, ভুগল মহানগর

আট দিনে শেষ হল মিছিলের সপ্তাহ! গত শনিবার, ২৯ নভেম্বর ধর্মতলায় একটি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সভা ঘিরে যানজটে অবরুদ্ধ হয়েছিল কলকাতা। নাকাল হয়েছিলেন নাগরিকেরা। তার পর রবিবার থেকে বুধবার-বিজেপি, তৃণমূল এবং প্রতিবন্ধী সম্মিলনীর মিছিলের জেরেও ভোগান্তি হয়েছে মানুষের। এ দিন, শনিবার ‘মিছিল-সপ্তাহ’ শেষ হল বাবরি মসজিদ ধ্বংস বিরোধী একাধিক মিছিলে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০১৪ ০০:৪২
Share: Save:

আট দিনে শেষ হল মিছিলের সপ্তাহ! গত শনিবার, ২৯ নভেম্বর ধর্মতলায় একটি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সভা ঘিরে যানজটে অবরুদ্ধ হয়েছিল কলকাতা। নাকাল হয়েছিলেন নাগরিকেরা। তার পর রবিবার থেকে বুধবার-বিজেপি, তৃণমূল এবং প্রতিবন্ধী সম্মিলনীর মিছিলের জেরেও ভোগান্তি হয়েছে মানুষের। এ দিন, শনিবার ‘মিছিল-সপ্তাহ’ শেষ হল বাবরি মসজিদ ধ্বংস বিরোধী একাধিক মিছিলে।

এ দিন অবশ্য যানজট তুলনায় কিছুটা কম হয়েছে।

শনিবার মেয়ো রোডে গাঁধী মূর্তির পাদদেশে সভার আয়োজন করেছিল তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেল। তাতে হাজির ছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। খালি চোখে ওই সভায় তেমন ভিড় নজরে পড়েনি। তবে পুলিশের দাবি, সেই সভায় যোগ দিতে শহর ও লাগোয়া জেলা থেকে হাজার দশেক লোক জড়ো হন। এ দিনই বেলা আড়াইটে নাগাদ মহাজাতি সদনের সামনে থেকে রবীন্দ্র সদনের উদ্দেশে মিছিল শুরু করে বামেরা। পুলিশের দাবি, বামেদের মিছিলেও হাজার দশেক লোক হয়েছিল। যদিও ধর্মতলার ডোরিনা মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকা সাধারণ নাগরিকের অভিজ্ঞতা বলছে, ওই মোড় পেরোতে পুরো মিছিলের ঘণ্টাখানেক লেগেছে।

শাসক-বিরোধীর জোড়া মিছিলের জেরে এ দিন চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ, রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ, এসএন ব্যানার্জি, লেনিন সরণির মতো মধ্য কলকাতার গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলিতে যানজট হয়। ফলে শহরের অনেকটা এলাকা জুড়েই যান চলাচল ব্যাহত হয়। তবে যানজট এ দিন ততটা বাড়েনি। পুলিশ জানায়, তৃণমূলের সমাবেশে বেশির ভাগ লোক ম্যাটাডর ও টেম্পো চেপে এসেছিলেন। বামেদের মিছিল গিয়েছে রাস্তার এক পাশ দিয়ে। ফলে মিছিল কোনও মোড় পেরনো মাত্রই সেই রাস্তায় গাড়ি চলাচল শুরু করা গিয়েছে। মিছিল সুশৃঙ্খল হওয়ায় পুলিশের কাজে সুবিধা হয়েছে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE