আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও কেন তা মামলার কেস ডায়েরিতে নথিভূক্ত হল না, ফুলবাগানে একটি মৃত্যুর মামলায় বুধবার সেই প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাইকোর্ট। পাশাপাশি আত্মহত্যায় প্ররোচনার তদন্তে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও এ দিন ক্ষোভ প্রকাশ করে হাইকোর্ট। তদন্তে কেন গাফিলতি হল, সে ব্যাপারে দশ দিনের মধ্যে তদন্তকারী অফিসারকে হলফনামা জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি অসীম রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ।
কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, ফুলবাগান থানার সুরেন সরকার রোডের বাসিন্দা সুখেন বিশ্বাস গত বছর ৩০ নভেম্বর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। তাঁর বোন মাম্পি এফআইআর করে জানান, তাঁর মা কাননদেবী ও দাদা সুখেন সমীর বন্দ্যোপাধ্যায় নামে ভাড়া থাকতেন। বাড়িওয়ালা ও পাড়ার কয়েক জন ঘর ছেড়ে দেওয়ার জন্য তাঁর মা ও দাদার উপরে চাপ দিচ্ছিলেন। মাম্পির অভিযোগ, ২৯ নভেম্বর দুষ্কৃতীরা তাঁর মা-কে ঘর ছাড়ার হুমকি দেন। অন্যথায় তাঁর দাদাকে প্রাণে মারা হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়। পরদিনই সুখেনের ঝুলন্ত দেহ মেলে।
পরিবারের দাবি, সুইসাইড নোটে সুখেন জানান, স্থানীয় কোনও যুবকেরা তাঁর মৃত্যুর জন্য দায়ী। অভিযোগ, সেই সুইসাইড নোট তদন্তকারী অফিসারকে দিলেও পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি। আরও অভিযোগ, তদন্তকারী অফিসারের গাফিলতিতে অভিযুক্তদের মধ্যে চার জন হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিনও পেয়ে গিয়েছে। আরও দুই অভিযুক্ত ডিভিশন বেঞ্চে আগাম জামিনের আবেদন জানায়।
এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে এ দিন আদালতে মামলার তদন্তকারী অফিসার, থানার ওসি এবং কলকাতা পুলিশের ইস্ট-সাবার্বান ডিভিশনের ডিসি-কে হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছিল ডিভিশন বেঞ্চ। দুই অভিযুক্ত আগাম জামিনের আবেদনের শুনানি ছিল এ দিন। মামলার কেস ডায়েরিতে সুইসাইড নোটের উল্লেখ না-থাকায় এ দিন বেঞ্চ তদন্তকারী অফিসারের কাছে জানতে চায়, তিনি অভিযুক্তের স্বার্থরক্ষা করছেন কি না। তদন্তকারী অফিসার এই গাফিলতির জন্য ক্ষমা চাইলে ডিভিশন বেঞ্চ বলে, আদালতের কাছে ক্ষমা না চেয়ে, তিনি মৃতের আত্মার কাছে ক্ষমা চান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy