Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

মোহরকুঞ্জে উদ্ধার যুবকের ঝুলন্ত দেহ

এক মাস আগে রাতে হাওড়ার বিজয়কৃষ্ণ পার্কে পাথর দিয়ে মাথা থেঁতলে এক জনকে খুন করা হয়। তখনই প্রশ্ন উঠেছিল, কলকাতার পার্কগুলির নিরাপত্তা নিয়ে। এ বার খাস কলকাতার মোহরকুঞ্জে এক ব্যক্তির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় ফের প্রশ্নে পার্কগুলির নিরাপত্তা।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৯ অগস্ট ২০১৬ ০২:২৫
Share: Save:

এক মাস আগে রাতে হাওড়ার বিজয়কৃষ্ণ পার্কে পাথর দিয়ে মাথা থেঁতলে এক জনকে খুন করা হয়। তখনই প্রশ্ন উঠেছিল, কলকাতার পার্কগুলির নিরাপত্তা নিয়ে। এ বার খাস কলকাতার মোহরকুঞ্জে এক ব্যক্তির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় ফের প্রশ্নে পার্কগুলির নিরাপত্তা।

পুলিশ জানায়, রবিরার দুপুরে মোহরকুঞ্জে একটি তেজপাতা গাছ থেকে এক ব্যক্তির ঝুলন্ত দেহ মেলে। মৃতের নাম চন্দ্রশেখর পাত্র (৪৫)। বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরে। পুলিশের ধারণা, এটি আত্মহত্যা। মৃতের পরিবার সূত্রে খবর, চন্দ্রশেখরবাবুর দাদা পিজি-তে ভর্তি। শনিবার রাত ১০টা নাগাদ হাসপাতাল থেকে বেরোন চন্দ্রশেখরবাবু। তখন থেকেই তাঁর ফোন বন্ধ।

পুলিশই এ বার প্রশ্ন তুলছে খাস অফিসপাড়ার ওই পার্কের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে। পুলিশ সূত্রে খবর, মোহরকুঞ্জে রক্ষীর সংখ্যা ১০-এরও বেশি। সকালের শিফটে তিন জন, দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ছ’জন ও রাতে চার জন রক্ষী থাকেন। তাঁদের বক্তব্য, পার্কটি সাড়ে সাতশো মিটার দীর্ঘ, প্রবেশপথ পাঁচটি। উঁচু রেলিং দিয়ে পার্ক ঘেরা থাকলেও ওই সব গেট ও তার লাগোয়া রেলিংয়ের উচ্চতা চার ফুটেরও কম। ফলে তালাবন্ধ থাকলেও অনায়াসে যে কেউ রেলিং টপকে ঢুকতে পারেন। সকালে ও রাতে প্রতিটি গেটে রক্ষী রাখা সম্ভব হয় না। পার্কের এক রক্ষী জানান, ঝুলন্ত দেহটি পার্কের পাঁচ নম্বর দরজার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার রাতে ওই দরজায় রক্ষী ছিলেন না। পার্কে নেই সিসিটিভি ক্যামেরাও।

যে বেসরকারি সংস্থা ওই পার্কের নিরাপত্তার দায়িত্বে, তারা বলছে, কলকাতা পুরসভার কথামতো কাজ হচ্ছে। মেয়র পারিষদ (উদ্যান) দেবাশিস কুমার বলেন, ‘‘পুরসভা কী বলবে? যে সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, নিরাপত্তার ব্যবস্থা তাদের করতে হবে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

youth hanging body
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE