প্রতীকী ছবি।
পরপর দু’দিন ফেসবুকে দু’টি পোস্ট যুবকের। দু’টিরই বিষয়বস্তু প্রেম এবং মৃত্যু। ঘটনাচক্রে, রবিবার গভীর রাতে কেষ্টপুরের রবীন্দ্রপল্লির ভাড়াবাড়িতে সেই তরুণ সাহেব দে-র (২৩) ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন যুবক।
পুলিশ সূত্রের খবর, মৃত যুবক আদতে বীরভূমের বাসিন্দা। সল্টলেকে একটি বেসরকারি সংস্থার ক্যান্টিনে কাজের সুবাদে রবীন্দ্রপল্লির এডি ব্লকে বন্ধুদের সঙ্গে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতেন সাহেব। অন্য বন্ধুরাও ওই সংস্থারই কর্মী। মৃতের বন্ধুরা জানিয়েছেন, শুক্রবার বীরভূম থেকে ফেরার পর থেকে মনমরা অবস্থায় ছিলেন সাহেব। রবিবার সকালের ডিউটি সেরে রবীন্দ্রপল্লির বাড়িতে ফেরেন সাহেব। পুলিশ সূত্রের খবর, রাত সাড়ে আটটা নাগাদ ডিউটিতে যাওয়ার জন্য রান্নাঘরে পোশাক নিতে ঢোকেন এক বন্ধু। তখনই সিলিংয়ে সঙ্গে গামছা দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় সাহেবের দেহটি দেখতে পান তিনি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বাগুইআটি থানার পুলিশ। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা সাহেবকে মৃত ঘোষণা করেন।
গত ৩০ জুন সাহেব ফেসবুকে যে পোস্ট করেছেন তাতে লেখা, ‘আমি খুব বোকা! মানুষকে অল্পতেই বিশ্বাস করি! আর বিনিময়ে শুধু কষ্টই পাই’! এই লেখার সঙ্গে যে ছবিটি রয়েছে তাতে এক মহিলা সেতু থেকে ঝাঁপ দেওয়ার চেষ্টা করছেন। পরের দিনের পোস্টে যুবক লিখেছেন, ‘কাউকে এক বার মন থেকে ভালবেসে দেখো, তাকে ছাড়া বেঁচে থাকাটা মৃত্যুর চেয়েও কঠিন হবে’। এই ছবিতেও এক মহিলা রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে রয়েছে।
ফেসবুক প্রোফাইল দেখে প্রণয়ঘটিত কারণে সাহেব আত্মঘাতী হয়েছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে মনে করছে পুলিশ। তবে ময়না-তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরেই মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত ভাবে জানা যাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy