বেবি ঢালি ও শুভঙ্কর দেবরায়
বৌভাতের পরের দিনই উদ্ধার হল নববধূর ঝুলন্ত দেহ। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে নোয়াপাড়ায়। মৃতার নাম বেবি ঢালি (২৩)। তাঁর আত্মীয়দের অভিযোগ, বেবিকে খুন করা হয়েছে। ওই ঘটনার পরে বেবির বাড়ির লোকজন শ্বশুরবাড়িতে এসে ভাঙচুর চালান। মারধর করা হয় স্বামী, শ্বশুর, জা-সহ কয়েক জনকে। বেবির বাপের বাড়ির অভিযোগের ভিত্তিতে স্বামী, শ্বশুর ও ভাসুরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক ভাবে তদন্তকারীদের অবশ্য অনুমান, আত্মঘাতী হয়েছেন ওই তরুণী। দেহ পাঠানো হয়েছে ময়না-তদন্তে। ব্যারাকপুর কমিশনারেটের ডিসি (১) কে কান্নান বলেন, ‘‘কী কারণে এমন ঘটল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নোয়াপাড়ার বাবু কোয়ার্টার্স এলাকার বাসিন্দা শুভঙ্কর দেবরায়ের সঙ্গে গত সোমবার বিয়ে হয় বেবির। শুভঙ্করের মুদির দোকান আছে। বুধবার ছিল তাঁদের বৌভাত। আত্মীয়-পরিজনেদের থেকে পুলিশ জানতে পেরেছে, বৌভাতের সন্ধ্যায় নতুন বৌয়ের সঙ্গে নিজস্বী তুলতে গিয়ে একটি ফুলদানি পড়ে ভেঙে গিয়েছিল। তা নিয়ে বেবির বাপেরবাড়ি ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের মধ্যে বচসা হয়। তখনকার মতো ঘটনাটি মিটেও যায়।
শ্বশুরবাড়ির লোকদের দাবি, বৃহস্পতিবার সকালেও বেবি স্বাভাবিক ছিলেন। সকলের সঙ্গে কথা বলেন, চা-জলখাবারও খান। এর পরে তিনি বাথরুমে গিয়েছিলেন। কিন্তু বহু ক্ষণ পরেও বেবির সাড়াশব্দ না পেয়ে সন্দেহ হয় বাড়ির লোকজনের। তখন বাথরুমের দরজা ভেঙে ঢুকে শুভঙ্কর জানলার সঙ্গে গামছার ফাঁস দেওয়া অবস্থায় স্ত্রীর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। ব্যারাকপুর বি এন বসু মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে ওই তরুণীকে মৃত ঘোষণা করা হয়। বেবির ভাই বুবাই ঢালির অভিযোগ, ‘‘বোনকে মেরে ফেলা হয়েছে। মানসিক নির্যাতনও করা হয়েছে।’’
কিন্তু এক রাতের মধ্যে কী ঘটে থাকতে পারে যে সকালে এমন হল, তা নিয়ে জল্পনা চলছে নানা মহলে। গাড়ুলিয়ার পুর প্রধান সুনীল সিংহ বলেন, ‘‘এলাকায় ছেলেটির ভাবমূর্তি পরিচ্ছন্ন। পরিবারেরও সুনাম আছে। কী এমন ঘটল, বুঝতে পারছি না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy