ফুলবাগানের এই অ্যাপার্টমেন্টেই ঘটে খুন ও আত্মহত্যার ঘটনা। —ফাইল চিত্র
ফুলবাগান হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত পিস্তল ও কার্তুজের বিক্রেতাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সোমবার ভোর সাড়ে ৪টে নাগাদ বিহারের নওদা জেলার ওয়ারিসালিগঞ্জ থেকে পঙ্কজ কুমার নামে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতের থেকে অমিত আগরওয়াল একটি সেভেন এমএম পিস্তল ও ১০ রাউন্ড কার্তুজ কিনেছিল বলে তদন্তকারীরা জানিয়েছেন। মঙ্গলবার পঙ্কজকে নওদার ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে হাজির করানো হয় ট্রানজ়িট রিমান্ডের জন্য।
পুলিশ সূত্রের খবর, গত মার্চ মাসের প্রথম দিকে পঙ্কজ বিহার থেকে বাবুঘাটে এসে ওই পিস্তল ও কার্তুজ অমিতকে দিয়ে গিয়েছিল। অমিত সেগুলি নিয়ে মানিকতলা মেন রোডে স্ত্রী শিল্পীর ফ্ল্যাটে রেখে আসে বলে তদন্তকারীদের ধারণা। কারণ, গত ২২ জুন সকালে ছেলের সঙ্গে বেঙ্গালুরু থেকে আসে অমিত। বিমানবন্দরের বাইরে অপেক্ষা করছিলেন এক বন্ধু। ছেলেকে তার দাদার বাড়িতে পৌঁছে দিতে বলে অমিত একটি অ্যাপ-ক্যাবে করে কাঁকুড়গাছি মোড়ের কাছে নেমে মানিকতলার ওই ফ্ল্যাটে যায়। সেখানে যাওয়ার সময়ে তার হাতে শুধু একটি ফাইল ছিল। কিন্তু বেরিয়ে আসার সময়ে তার সঙ্গে ছিল একটি ল্যাপটপ ব্যাগ। ব্যাগটি পরে ওই রাতে অমিতের শ্বশুরবাড়ি থেকে উদ্ধার করেন গোয়েন্দারা। যে সেভেন এমএম পিস্তল দিয়ে অমিত শাশুড়ি ললিতা ঢনঢনিয়াকে গুলি করার পরে আত্মঘাতী হয়, উদ্ধার হয় সেটিও। তদন্তকারীরা মনে করছেন, মার্চের ৭ তারিখে যখন অমিত কিছু সময়ের জন্য কলকাতায় এসেছিল, তখনই সে অস্ত্র হাতে পায় ও মানিকতলার ফ্ল্যাটে রেখে যায়।
এক জন চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট বিহারের অস্ত্র কারবারির খোঁজ পেল কী করে? তদন্তকারীরা প্রাথমিক ভাবে জানতে পেরেছেন, অমিত বেঙ্গালুরুর কোনও পরিচিতের কাছ থেকে পঙ্কজের খোঁজ পায়। ধৃত তখন অমিতের অফিসের ক্যান্টিনেই কাজ করত। অমিত সেখানেই দেখা করে পঙ্কজকে ৪০ হাজার টাকা দেয়। পরে বাবুঘাটে আরও ৫০ হাজার টাকা দিয়েছিল। অমিতের পরিচিত সব জেনেই পঙ্কজের খোঁজ দিয়েছিলেন কি না, তা ধৃতকে জেরার পরে জানা যাবে বলে মনে করছে পুলিশ। অমিতকে অস্ত্র সরবরাহের কথা পঙ্কজ স্বীকার করেছে বলেই এক তদন্তকারী কর্তা জানিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy