কারখানায় দমকলকর্মীরা। মঙ্গলবার। — নিজস্ব চিত্র
কারখানার একটি ঘরে তখন কাজ করছিলেন শ্রমিকেরা। হঠাৎই তাঁদের নজরে এল, ঘরের এক কোণ থেকে গলগল করে ধোঁয়া বেরোতে শুরু করেছে। সঙ্গে সঙ্গে কারখানার অন্য শ্রমিকদের ঘটনাটি জানিয়ে তাঁরা ছুটে বেরিয়ে আসেন বাইরে। খবর দেওয়া হয় দমকলেও। ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় ৮টি ইঞ্জিন।
মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে আনন্দপুরের কসবা ইন্ডাস্ট্রিয়াল এস্টেটে। পুলিশ জানায়, আগুন লাগে একটি জুতো প্রস্তুতকারক সংস্থার কারখানায়। দমকল সূত্রে জানা গিয়েছে, পাঁচতলা ওই বাড়িটির দোতলায় যে ঘরে এ দিন আগুন লেগেছে, সেই ঘরটিতে বিভিন্ন রাসায়নিক এবং পিভিসি দানার মিশ্রণের কাজ করা হয়।
পুলিশ জানায়, ধোঁয়া বেরোতে দেখে এ দিন কারখানার কর্মীরাই প্রথমে অগ্নি-নির্বাপক যন্ত্র দিয়ে আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান। একটু পরেই পৌঁছে যায় দমকল।
আগুনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন ওই সংস্থার দুই আধিকারিক সুবীর রক্ষিত এবং শৈবাল বন্দ্যোপাধ্যায়। সুবীরবাবু বলেন, ‘‘সংস্থার কর্মীরাই প্রথমে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করায় তা দ্রুত ছড়াতে পারেনি।’’ এই ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর নেই। তবে কী ভাবে আগুন লাগল, তা এখনও জানা যায়নি।
অন্য দিকে, সোমবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ শ্যামপুকুরের রবীন্দ্র সরণিতে একটি বাড়িতেও আগুন লেগে আতঙ্ক ছড়ায়। দমকলের দু’টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনে। দমকল সূত্রে জানা গিয়েছে, জল গরম করার যন্ত্রে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের হওয়ার ফলেই ওই বিপত্তি। তবে এই ঘটনায় কারও হতাহত হওয়ার খবর মেলেনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy