ফাইল চিত্র
পোস্তায় দমকলের গাড়ির চাকায় মহিলার পিষ্ট হওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত চালককে আদালতে আত্মসমর্পণের নোটিস পাঠাল পুলিশ। তবে তাঁর পাশেই দাঁড়িয়েছে দমকল বিভাগ। দমকল কর্তাদের পাল্টা দাবি, দুর্ঘটনা ঘটেছে মহিলার দোষেই। দমকল আগুনের খবর পেয়ে নিয়ম মেনেই ঘণ্টা বাজিয়ে ঘটনাস্থলে যাচ্ছিল।
মঙ্গলবার সকালে পোস্তার সোনাপট্টিতে আগুন নেভাতে যাওয়ার পথে ওই এলাকাতেই একটি দমকলের গাড়ির পিছনের চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় গৌরী দাস নামে এক মহিলার। গাড়ির চালক ছিলেন উৎপল সরকার নামে এক দমকলকর্মী। দুর্ঘটনার পরে পুলিশ ওই গাড়িটিকে অবশ্য আগুন নেভানোর কাজে যেতে দেয়। গাড়িটি চালিয়ে নিয়ে যান উৎপলবাবুই। তবে পরে তাঁর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু হয়। পুলিশ জানায়, ওই চালক সরকারি কর্মী হওয়ায় তাঁকে আদালতে আত্মসমর্পণের জন্য নোটিস পাঠানো হয়েছে। তিনি আত্মসমর্পণ না করলে তাঁকে গ্রেফতার করা হবে।
এমন অবস্থায় দমকল আধিকারিকদের যুক্তি, বিনা বাধায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থলে পৌঁছতেই দমকল ঘণ্টা বাজায়, যাতে কেউ দমকলের সামনে না আসেন।
দমকলের অধিকর্তা সমীর চৌধুরী বুধবার বলেন, ‘‘নিয়ম অনুযায়ী ঘণ্টা বাজিয়েই দমকলের গাড়ি যাচ্ছিল। মহিলা রাস্তায় ঘুরছিলেন। দমকলের পিছনের চাকায় তিনি পিষ্ট হন। তাই চালকের কোনও দোষ নেই।’’ অভিযুক্ত চালক উৎপলবাবুর সঙ্গে এ দিন যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।
দমকলে ডিভিশনাল আধিকারিক (উত্তর) দীপঙ্কর পাঠক বলেন, ‘‘এ রকম ঘটনা বিরল হলেও চালকের বিন্দুমাত্র দোষ নেই।’’
এ দিকে গৌরীর স্বামী পিন্টু দাস এ দিন বলেন, ‘‘এক দিন পরেও অভিযুক্ত চালককে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি!’’
লালবাজারের এক কর্তা বলেন, ‘‘সরকারি কর্মী হওয়ায় ঘাতক গাড়ির চালকের বিরুদ্ধে নিয়মানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy