আগুন নেভাতে ব্যস্ত দমকল। শনিবার। —নিজস্ব চিত্র।
আগুনের শিখা নয়, ধোঁয়া থেকেই আতঙ্ক ছড়াল স্টেটসম্যান সংবাদপত্রের অফিসে। দমকল সূত্রের খবর, শনিবার রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ চৌরঙ্গির স্টেটসম্যান হাউসের চারতলার কম্পিউটার সার্ভার রুমের এসিতে আগুন লেগেছিল। তার থেকে কালো ধোঁয়ায় ভরে যায় গোটা অফিস। দমবন্ধকর পরিস্থিতির মধ্যে ভিতরে থাকা কর্মীরা বেরিয়ে আসেন। তবে দু’জন আটকে থাকলেও পরে তাঁদের উদ্ধার করেন দমকল কর্মীরা। প্রাথমিক চিকিৎসার পরে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কোনও হতাহতের খবর নেই। ২০০৬ সালেও এক বার ওই অফিসে আগুন লেগেছিল। রাতেই।
দমকল জানিয়েছে, খবর পেয়ে ত়ড়িঘড়ি চারটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে হাজির হয়। আনা হয় একটি বড় মই। সাড়ে ১০টা নাগাদ আগুন পুরোপুরি নিভিয়ে ফেলা সম্ভব হয়। এ দিন ঘটনাস্থলে গিয়েছিল বৌবাজার থানার পুলিশ এবং বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও। দমকলের পদস্থ কর্তারাও হাজির হন। পরে সেখানে আসেন দমকল মন্ত্রী তথা মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। প্রাথমিক ভাবে দমকলের অনুমান, শর্ট সার্কিট থেকেই থেকেই আগুন লেগেছিল।
শোভনবাবু জানান, খবর পেয়েই দ্রুত দমকল ঘটনাস্থলে পৌঁছনোয় আগুন সার্ভার রুমের বাইরে অন্য কোনও ঘরে ছড়িয়ে পড়তে পারেনি। তবে সার্ভার রুমের ফলস সিলিং এবং অন্যান্য আসবাবপত্র, সামগ্রী পুড়ে গিয়েছে। সার্ভার রুম পরিদর্শনের পরে মন্ত্রী বলেন, ‘‘পুরো অন্ধকার। তার মধ্যেও যেটুকু দেখা গিয়েছে তাতে কোথাও অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা চোখে পড়েনি। তবে তা থাকা উচিত ছিল। সকালে দমকল কর্মীরা আবার দেখবেন।’’
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সংবাদপত্রের অফিস হওয়ায় রাত সাড়ে ন’টা নাগাদও অনেক কর্মী কাজ করছিলেন। আচমকা সার্ভার রুম থেকে গলগল করে কালো ধোঁয়া বেরোতে দেখে এবং ফটফট শব্দ শুনে কর্মীরা আতঙ্কিত হয়ে অফিস ছেড়ে বেরোতে শুরু করেন। ধোঁয়ার দাপটে কারও কারও কাশিও শুরু হয়ে গিয়েছিল। ফলে নাকমুখ চেপে রীতিমতো দৌড়ে দফতরের সামনের রাস্তায় বেরিয়ে আসেন তাঁরা। আবার অনেক কর্মী সামনের সিঁড়ি দিয়ে নামতে না পেরে পিছনের ব্যালকনির দিকের একটি দরজা ভেঙে সিঁড়ি বেয়ে নিচে নেমে আসেন। এর মধ্যেই দু’জন কর্মী আটকে পড়েন।
স্থানীয় বাসিন্দা জাফর ফিরোজ বলেন, ‘‘আচমকা দেখলাম বাড়ির ছাদ থেকে কালো ধোঁয়া বেরোচ্ছে। মুহূর্তের মধ্যে তা চারিদিকে ছড়িয়ে পরে।’’
অন্য দিকে এ দিন রাত পৌনে ৮টা নাগাদ বেহালার ঢালিপাড়ায় ব্রহ্মসমাজ রোড ও রামকৃষ্ণ সরণির সংযোগস্থলে একটি দু’তলা বাড়িতে আগুন লাগে। দমকল সূত্রের খবর, ওই বাড়িটি একটি রাসায়নিকের গুদাম।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy