তখনও জ্বলছে। বুধবার, যাদবপুর কিশোর ভারতী স্টেডিয়ামে। — নিজস্ব চিত্র।
আগুনে পুড়ে গেল যাদবপুর কিশোরভারতী স্টেডিয়ামে রাখা কৃত্রিম ঘাসের (অ্যাস্ট্রোটার্ফ) একাংশ। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার দুপুরে।
ক্রীড়া দফতর সূত্রে খবর, ১৯৮৫ সালে নেহরু গোল্ড কাপ ফুটবল প্রতিযোগিতার সময়ে প্রায় এক কোটি টাকা খরচ করে জার্মানি থেকে ওই কৃত্রিম ঘাস এনে সল্টলেকে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে বিছানো হয়েছিল। বছর দুয়েক আগে সেখান থেকে কৃত্রিম ঘাসের ২৮টি রোল কিশোর ভারতী স্টেডিয়ামে এনে রাখা হয়। ওই ঘাস সেখানে বসানো হবে বলে পরিকল্পনাও করা হয়েছিল। কিন্তু সূত্রের খবর, দীর্ঘদিন ধরে কার্যত অরক্ষিত ভাবে রাখা প্রায় কোটি টাকা মূল্যের ওই কৃত্রিম ঘাসের রোলে জঙ্গল গজিয়ে গিয়েছিল। বুধবার প্রায় ১৭টি রোল পুড়ে গিয়েছে বলে
দাবি পুলিশের।
পুলিশ ও দমকল সূত্রে খবর, এ দিন দুপুরে দেড়টা নাগাদ আচমকা ওই কৃত্রিম ঘাসের রোলে আগুন ধরে যায়। পাটুলি থেকে দমকলের তিনটি ইঞ্জিন এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ দিন ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, চারদিকে রবারের পোড়া গন্ধ। প্রত্যক্ষদর্শীদের কথায়, দমকল খুব তাড়াতাড়ি চলে আসায় বড়সড় আগুনের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া গিয়েছে। পুলিশ জানায়, সকালে কয়েক জন কলেজ পড়ুয়া স্টেডিয়ামের পিছনে ওই এলাকায় জঙ্গল থেকে গাছের চারা সংগ্রহ করছিল। পুলিশের অনুমান, রবারের ওই কৃত্রিম ঘাসে জলন্ত সিগারেট ফেলাতেই আগুন ধরে যায়।
এ দিন পূর্ত ও ক্রীড়া মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বলেন, ‘‘এ নিয়ে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ওই কৃত্রিম ঘাস কী ভাবে রাখা হয়েছিল, তা-ও খতিয়ে দেখছেন দফতরের আধিকারিকেরা।’’
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, কিশোর ভারতী স্টেডিয়ামের এক দিকে সার্ভে পার্ক থানা ও পূর্ব যাদবপুর ট্রাফিক গার্ড। অন্য দিক কার্যত অরক্ষিতই থাকে। ফলে পিছনের গেট দিয়ে অবাধে স্টেডিয়ামের ভিতরে যাতায়াত করেন মানুষ। সন্ধ্যার পরে নেশার আসরও বসে। স্টেডিয়ামের নিরাপত্তার দিকটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান মন্ত্রী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy