— প্রতীকী চিত্র।
মহারাষ্ট্রে কংগ্রেসের জোট মহা বিকাশ আঘাড়ীর ভরাডুবির পরেই কংগ্রেস নেতারা ইভিএমে কারচুপি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। এ বার খোদ কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে ইভিএমের বদলে ব্যালট পেপারে ভোটের দাবি তুললেন। এই দাবিতে কংগ্রেসের পাশে দাঁড়াল তৃণমূলও। আর জি কর-প্রতিবাদের ধাক্কা সামলে রাজ্যের ছ’টি উপনির্বাচনে জিতলেও তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন, ‘‘আমরা পেপার ব্যালট চাই। আমরা ইভিএম-এ বহু নির্বাচনে জিতেছি। তা সত্ত্বেও আমাদের ব্যালট পেপার বেশি পছন্দ।’’
দিল্লির তালকাটোরা স্টেডিয়ামে সংবিধান দিবসে কংগ্রেসের ‘সংবিধান রক্ষক অভিযান’-এর অনুষ্ঠানে খড়্গে, লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী হাজির ছিলেন। খড়্গে বলেন, ‘‘আমাদের ইভিএম, ফিভিএম চাই না। আমাদের চাই ব্যালট পেপারে ভোট।’’ রাহুল গান্ধী যেমন ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ করেছিলেন, তেমন ব্যালট পেপারে নির্বাচনের দাবিতে রাহুলের নেতৃত্বে দেশ জুড়ে আন্দোলন হতে পারে বলেই মন্তব্য করেছেন খড়্গে। তাঁর বক্তব্য, ‘‘ইভিএম আমদাবাদে মোদী-শাহের বাড়িতে বা গুদামে থাকুক। আমরা অন্য দলের সঙ্গে
কথা বলব।’’
আজই সুপ্রিম কোর্ট ইভিএমে কারচুপির অভিযোগে জনস্বার্থ মামলা খারিজ করে বলেছে, হারলেই ইভিএমে কারচুপির অভিযোগ ওঠে। জিতলে ওঠে না। কিন্তু খড়্গের বক্তব্য, দলিত, আদিবাসী, ওবিসি, গরিব মানুষ যত শক্তি দিয়ে কংগ্রেসকে ভোট দিন, সেই ভোট অপচয় হচ্ছে। কংগ্রেস সূত্রের খবর, মহারাষ্ট্র, হরিয়ানার হারের পর্যালোচনা ও সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি আলোচনা করতে শুক্রবার কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেখানে এ নিয়ে আলোচনা হবে। বিজেপি কটাক্ষ করেছে, কংগ্রেস কবে মানবে যে হারের কারণ ইভিএম নয়,
রাহুল গান্ধী!
যদিও মহারাষ্ট্রে নান্দেড় লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের ফল দেখিয়ে কংগ্রেস নেতারা বলছেন, সেখানে উপনির্বাচনে কংগ্রেস জিতেছে।
অথচ ওই লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রে কংগ্রেস হেরেছে। কী ভাবে সম্ভব? শরদ পওয়ারের এনসিপি ইতিমধ্যেই আইনজীবীদের দল গঠন করে প্রার্থীদের ফল নিয়ে আপত্তি তোলার মতো তথ্যপ্রমাণ জোগাড় করার নির্দেশ দিয়েছেন। আজ পওয়ার এ নিয়ে দলের বিধায়ক, প্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। প্রার্থীদের ভিভিপ্যাট যাচাই করার জন্য আবেদন করতে বলেছেন পওয়ার। ডিএমকে, আরজেডি, সিপিএম, সিপিআই এ নিয়ে এখনও অবস্থান নেয়নি।
মহারাষ্ট্রে কংগ্রেস বিজেপির ওবিসি ভোটে ভাগ বসাতে জাতগণনার প্রতিশ্রুতিকে অন্যতম হাতিয়ার করলেও তা কাজে দেয়নি। আজ খড়্গে ও রাহুল, দু’জনেই বলেছেন, তাঁরা জাতগণনার দাবিতে অনড় থাকবেন। রাহুলের বক্তৃতার সময় প্রায় চার-পাঁচ মিনিটের জন্য মাইক্রোফোন বন্ধ হয়ে যায়। মাইক চালু হলে রাহুল বলেন, ‘‘অনগ্রসর, গরিবদের কথা বললেই মাইক বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু আমি অনগ্রসরদের কথা বলবই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy