বিক্ষোভকারীদের প্রশ্ন, এখনও কেন নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি বেরোল না? —ফাইল চিত্র।
‘ভাতা নয়, আমরা নিয়োগ চাই’— এই স্লোগান তুলে ফের বিক্ষোভ মিছিলে শামিল হলেন ২০২২ সালের প্রাথমিক টেট-উত্তীর্ণ কয়েক হাজার চাকরিপ্রার্থী। মঙ্গলবার শিয়ালদহ থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত সেই মিছিলে যোগ দেন বিভিন্ন জেলা থেকে আসা চাকরিপ্রার্থীরাও। তাঁরা জানাচ্ছেন, টেটের ফল প্রকাশিত হয়েছে ৬৫৫ দিন হয়ে গেল। বিক্ষোভকারীদের প্রশ্ন, এখনও কেন নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি বেরোল না? আর কত দিন তাঁদের আন্দোলন করতে হবে?
এ দিন হুইলচেয়ারে বসেই মিছিলে এসে প্রতিবাদে সরব হন ক্যানিংয়ের জীবনতলার সহরজান লস্কর। তিনি বলেন, ‘‘আমি প্রতিবন্ধী ভাতা আর লক্ষ্মীর ভান্ডার পাই। কিন্তু সরকারের এই দয়ার ভাতা চাই না। টেট পাশ করেছি, নিয়োগ পেয়ে সসম্মানে বাঁচতে চাই। ভাতার দু’হাজার টাকায় কি সংসার চলে?’’ এ দিন দুই বাচ্চাকে নিয়ে মিছিলে অংশ নেন বর্ধমান থেকে আসা সীমা কর্মকার। সীমা বলেন, ‘‘এই মিছিলের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই।’’
‘২০২২ প্রাথমিক টেট পাশ ডিএলএড ঐক্য মঞ্চ’-এর উদ্যোগে এ দিনের মিছিলে হাঁটেন বিভিন্ন জেলা থেকে আসা টেট-উত্তীর্ণেরা। বিদেশ গাজি নামে এক চাকরিপ্রার্থী জানান, ২০২৩ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি টেটের ফল বেরোনোর সময়ে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, প্রতি বছর পরীক্ষা ও নিয়োগ হবে। তাঁদের প্রশ্ন, সেই প্রতিশ্রুতির কী হল? চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, পর্ষদ জানিয়েছে, ৫০ হাজার শূন্য পদ রয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল অবশ্য বলেন, ‘‘শূন্য পদের সংখ্যা জানায় শিক্ষা দফতর। আমরা সেই সংখ্যা জানতে চেয়েছি।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘২০২২ এবং ২০২৩ সালে উত্তীর্ণদের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ না করে টেট নেওয়া হবে না বলেই আমরা চলতি বছরে পরীক্ষা নিইনি।’’
যার পরিপ্রেক্ষিতে এক চাকরিপ্রার্থী পার্থজিৎ বণিক বলেন, ‘‘আমরা শিক্ষা দফতরের এক কর্তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, কবে শূন্য পদের সংখ্যা জানানো হবে? ওই কর্তা বলেছেন, নবান্নে গিয়ে জিজ্ঞাসা করুন।’’ এই অবস্থায় তাঁরা কোথায় যাবেন, সেই প্রশ্ন তুলেছেন পার্থজিৎ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy