কোথাও খোলা নর্দমা। কোথাও আবার নর্দমাই নেই। কোথাও খাল বুজিয়ে গজিয়ে উঠেছে বসতি।
বিধাননগর পুরসভার এ সব প্রত্যন্ত এলাকায় মশা নিধনে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল। তবে তারই মধ্যে যে সব এলাকায় মশা নিয়ন্ত্রণের কাজ তুলনায় সন্তোষজনক, সেখান থেকেও আসছে জ্বরের খবর।
পুর প্রশাসনের একাংশের দাবি, বেশ কিছু এলাকায় সেপ্টেম্বর থেকে জ্বরের প্রকোপ বেড়েছে এবং মৃত্যুও হয়েছে। তার পরেই ওই সব এলাকায় বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হয়। তাতে মশার দাপটও কিছুটা কমেছে। কিন্তু তার পরেও নতুন করে জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন বাসিন্দারা। পুরসভা সমীক্ষায় দেখেছে, জ্বর সেরে গেলেও অনেকেই কোনও সাবধানতা অবলম্বন করছেন না। তাতে বাড়ছে বিপত্তি।
বিধাননগর পুরসভার দাবি, রাজারহাট-গোপালপুর এলাকায় নিকাশির হাল খারাপ। সেই পরিকাঠামো উন্নয়নে পরিকল্পনাও করেছে পুরসভা। এ ছা়ড়া মেডিক্যাল ক্যাম্প, বাড়ি বাড়ি তথ্য সংগ্রহ, ঝোপ-জঙ্গল সাফ এবং জমা জল পরিষ্কার— সবই করা হয়। অথচ, তার পরেও বহু জায়গায় নতুন করে জ্বরে আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে। ঘটেছে মৃত্যুও। শনিবার পুরসভার তরফে জ্যাংড়া-রবীন্দ্রপল্লিতে মেডিক্যাল ক্যাম্প হয়েছে। এর পরে রাজারহাট, কেষ্টপুর-সহ আরও কিছু এলাকায় ক্যাম্প করা হবে।
বিধাননগর পুরসভার মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) প্রণয় রায় জানান, মশার উৎসস্থল এখনও কিছু রয়ে গিয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করা হচ্ছে। জ্বর সেরে গেলেও অনেকে সতর্ক হচ্ছেন না। এর ফলে সমস্যা বাড়ছে বলেই সমীক্ষায় দেখা দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘আমরা সচেতনতার প্রচারে আরও জোর বাড়িয়ে সমাধানের চেষ্টা চালাচ্ছি।’’
বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুর কর্তারা মুখে সাফাইয়ের কথা বললেও বাস্তবে মশা নিয়ন্ত্রণের কাজে বেশ কিছু ওয়ার্ড পিছিয়ে রয়েছে। সেই সব ক্ষেত্রে কাউন্সিলরদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা।
বিধাননগর পুরসভার শীর্ষ কর্তারা জানিয়েছেন, কার্যত টাস্ক ফোর্সের ধাঁচে টিম করে কাজ করা হচ্ছে। তাই সেখানে কোনও ব্যক্তিবিশেষের কাজে শিথিলতা থাকলেও আখেরে কাজে তার প্রভাব পড়বে না। বিভিন্ন দফতরের সমন্বয়ে কাজ হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy