Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Sovan-Baisakhi-Ratna

শোভন-বৈশাখীকে আদালত চত্বরে হুমকি! ‘স্বামী’র দাবি শুনে আকাশ থেকে পড়লেন তৃণমূল বিধায়ক রত্না

শোভন-বৈশাখীর অভিযোগ, শুনানিপর্বে আদালত চত্বরে বহিরাগতদের এনে তাঁদের হুমকি দিয়েছেন রত্না। যদিও স্বামী শোভন ও তাঁর বান্ধবী বৈশাখীর আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বেহালা পূর্বের বিধায়ক।

Image of Ratna Chatterjee

শোভন-বৈশাখীর সঙ্গে তৃণমূল বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্যায়ের দ্বন্দ্ব পুনরায় প্রকাশ্যে এল। ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকতা শেষ আপডেট: ০৩ মে ২০২৩ ২১:৪৪
Share: Save:

ফের শোভন-বৈশাখীর সঙ্গে তৃণমূল বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্যায়ের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এল। বুধবার আলিপুর আদালতে শোভন চট্টোপাধ্যায় ও রত্নার বিবাহ বিচ্ছেদের মামলার শুনানি ছিল। শোভন-বৈশাখীর অভিযোগ, শুনানিপর্বে আদালত চত্বরে বহিরাগতদের এনে তাঁদের হুমকি দিয়েছেন রত্না। যদিও স্বামী শোভন ও তাঁর বান্ধবী বৈশাখীর আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বেহালা পূর্বের বিধায়ক। স্বামীর অভিযোগ শুনে কার্যত আকাশ থেকে পড়লেন তিনি।

গোলমালের আশঙ্কা করে মঙ্গলবারই আলিপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন শোভন। তাঁর অভিযোগ, বুধবার বিবাহ বিচ্ছেদ মামলার শুনানিতে অংশ নিতে এলে আদালত চত্বরেই অশ্রাব্য ভাষায় তাঁদের গালিগালাজ করেন রত্নার অনুগামীরা। শোভন বলেন, ‘‘আমাদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলছে। দু’পক্ষই তাঁদের আইনজীবী মারফৎ নিজেদের কথা জানাব। তারপর আদালত তার সিদ্ধান্ত জানাবে। কিন্তু এই প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।’’ তাঁর আরও অভিযোগ, ‘‘শুধু আমাকে বা বৈশাখীকে নয়, আমাদের আইনজীবীকেও হেনস্থা করেছে ওর গুন্ডারা। আমিও ১৯৮৫ সাল থেকে আমিও জনপ্রতিনিধি ছিলাম। কিন্তু কখনও এই সব দুর্বৃত্তদের প্রশ্রয় দিইনি। আমি যা প্রত্যক্ষ করেছি, তা আমার ৪০ বছরের জনপ্রতিনিধির জীবনে নজিরবিহীন ঘটনা।’’ এক কথায় রত্নাকে দায়িত্বজ্ঞানহীন জনপ্রতিনিধি বলেও আক্রমণ করেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সাল থেকে শোভনের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলছে তাঁর স্ত্রী রত্নার। শুনানিতে নানা সময়ে রত্নার বিরুদ্ধে আদালত চত্বরে দুর্বৃত্তদের এনে তাঁদের হেনস্থা করা হচ্ছে বলে অভিযোগও করেছেন শোভন-বৈশাখী। বুধবার ফের একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হল বলেই অভিযোগ করেছেন তাঁরা। তবে তাঁদের আনা যাবতীয় অভিযোগ নস্যাৎ করে দিয়েছেন রত্না।

কিন্তু শোভন-বৈশাখীর অভিযোগ প্রসঙ্গে রত্নার সাফ জবাব, ‘‘আমার কোনও প্রয়োজন পড়েনি যে আদালতে আমি লোকজন নিয়ে যাব। আদালতে আইনের লড়াই হবে, সে ভাবেই আমি লড়াই করছি। আদালতে আমার সঙ্গে অন্য কেউ যায়নি। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।’’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমার কী দায়িত্ব, তা অন্য কাউকে বুঝিয়ে দিতে হবে না। আমি আমার বিধানসভা ও ওয়ার্ডের সঙ্গে আমার দুই সন্তানের দেখভাল করি।’’ শোভনের অনুপস্থিতিতে তাঁর ছেড়ে যাওয়া বেহালা পূর্ব বিধানসভা ও ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডের দুইয়ের দায়িত্ব রত্নাকেই দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০২১ সালে প্রথমে বিধানসভা ও পরে কলকাতার পুরভোটে তৃণমূলের প্রতীকে জয় পেয়েছেন রত্না।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy