Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

প্রাক্তন স্ত্রীর স্বামী অপহৃত, ধৃত যুবক

অভিযোগ, সেই সময় সেখানে আসে রিয়াজউদ্দিনও। অন্য জায়গায় বেশি টাকার কাজ আছে বলে ফারহাদকে জানান তিনি।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০১৭ ০২:১৬
Share: Save:

প্রাক্তন স্ত্রীর স্বামীকে অপহরণের অভিযোগ গ্রেফতার করা হয়েছে এক ব্যাক্তিকে।

পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম রিয়াজউদ্দিন। বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগণার নোদাখালিতে। মঙ্গলবার রাতে বজবজ থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে অপহৃত ফারহাদ হোসেনকে উদ্ধার করে আলিপুর থানার পুলিশ। ধৃতকে বুধবার আদালতে পেশ করা হলে বিচারক তাকে পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। ধৃত রিয়াজের প্রাক্তন স্ত্রী অম্বিকা খাতুন রিয়াজের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের পরে বিয়ে করেছিলেন লালগোলার বাসিন্দা ফারহাদকে।

পুলিশ জানায়, ফারহাদ রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। সোমবার সকালে আলিপুর থানা এলাকার হেস্টিংস হাউসের কাছে কাজ করতে আসেন ফারহাদ। অভিযোগ, সেই সময় সেখানে আসে রিয়াজউদ্দিনও। অন্য জায়গায় বেশি টাকার কাজ আছে বলে ফারহাদকে জানান তিনি। ফারহাদ রাজি হলে সোজা তাঁকে নিয়ে রিয়াজ চলে যান বজবজে নিজের বাড়িতে। এর পর ফারহাদের ফোন থেকে তাঁর পরিবারের সদস্যদের ফোন করে লক্ষাধিক টাকা দাবি করেন রিয়াজ। পুলিশ জানায়, অপহৃতের পরিবার টাকা দিতে রাজি এটা জানার পর মঙ্গলবার রাতে বজবজ স্টেশনের কাছে আসেন রিয়াজ। সাদা পোশাকে থাকা পুলিশকর্মীরা সেখান থেকে গ্রেফতার করেন রিয়াজকে।

পরে জেরা করে ধৃতের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় অপহৃতকে। ফারহাদ পুলিশের কাছে দাবি করেছেন, আটক রাখার সময় তার ওপর অত্যাচার চালিয়েছে অভিযুক্ত। তার সঙ্গে আরও অনেকে ছিল বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। এমনকী তাঁর দেহে ধারালো কিছু দিয়ে আঘাতও করা হয়েছে বলে ফারহাদের দাবি।

প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানতে পেরেছে, সাড়ে তিন বছর আগে রিয়াজের সঙ্গে বিয়ে হয় অম্বিকার। দেড় মাস আগে দু’জনের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। তার আগে অম্বিকাদের গ্রামে একটি সালিশি সভাও হয়। যাতে রিয়াজ বিচ্ছেদ বাবদ তিনলক্ষ টাকা দাবি করেন অম্বিকার বাবার কাছে। তদন্তকারীরা জানান, সেখানে উপস্থিত ছিল ফারহাদের পরিবারও। তাঁদের উপস্থিতিতে অম্বিকার বাবা ওই টাকা দিতে রাজি হয়ে যান। এর পরেই ফারহাদের সঙ্গে বিয়ে হয় অম্বিকার।

ধৃতকে জেরা করার পর পুলিশ জানতে পেরেছে, গত মাসেই ওই টাকা দিয়ে দেওয়ার কথা ছিল অম্বিকার বাবার। কিন্তু সেই টাকা না মেলায় তিনি অপহরণের ছক কষেন। এর পরেই মোটা টাকার কাজের লোভ দেখিয়ে আলিপুর থানা এলাকার হেস্টিংস হাউসের সামনে থেকে ফারহাদকে নিয়ে যাওয়া হয় বজবজে।

এক পুলিশ কর্তা জানান, ধৃত ব্যক্তি দাবি করেছেন তিনি একাই ফারহাদকে অপহরণ করেছিলেন। কিন্তু তদন্তকারীদের অনুমান, রিয়াজের সঙ্গে আরও অনেকেই রয়েছে, যারা ফারহাদকে আটকে রেখে মারধরের সঙ্গে যুক্ত। তাদেরও খোঁজ চলছে।

অন্য বিষয়গুলি:

Kidnap Nodakhali নোদাখালি
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE