শুক্রবার রাতে উদ্ধার হয়েছিল প্রাক্তন ফুটবলার রণজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের ক্ষতবিক্ষত দেহ। —ফাইল চিত্র।
লেক গার্ডেন্স স্টেশনের কাছে রেললাইন থেকে শুক্রবার রাতে উদ্ধার হয়েছিল প্রাক্তন ফুটবলার রণজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের ক্ষতবিক্ষত দেহ। দু’জন পরিচিত ব্যক্তির চাপে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি করেছিলেন রণজিতের স্ত্রী টুম্পা চট্টোপাধ্যায়। রবিবার ওই দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে বালিগঞ্জ রেলপুলিশের কাছে স্বামীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেছেন টুম্পা। তাঁর দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে রেলপুলিশ।
রণজিতের মৃত্যু-তদন্তে প্রাথমিক ভাবে রেলপুলিশ জানতে পারে, রাত ১০টা বেজে ৫ মিনিট নাগাদ লেক গার্ডেন্স রেল কেবিনের সামনে শিয়ালদহমুখী বজবজ লোকালের ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে তাঁর। এর পরেই রণজিতের স্ত্রী টুম্পা দাবি করেন, শেখ ফিরোজ নামে এক ব্যক্তির অটোর পারমিট বার করা নিয়ে মধ্যস্থতা করতে গিয়ে ‘ফেঁসে’ গিয়েছেন রণজিৎ।
টুম্পার দাবি, ফিরোজের নতুন অটোর পারমিট বার করিয়ে দেওয়ার নামে আশু ভট্টাচার্য নামে এক ব্যক্তি কয়েক মাস আগে আড়াই লক্ষ টাকা নেন। তবে অটোর পারমিট পাননি ফিরোজ। সম্প্রতি ফিরোজ সেই টাকা ফেরত চাইছিলেন। তা না পেয়ে রণজিৎকে চাপ দিচ্ছিলেন ফিরোজ। শুক্রবার রাতে দলবল নিয়ে ফিরোজ রণজিতের বাড়িতেও চড়াও হন বলে অভিযোগ। টুম্পার দাবি, ‘‘ফোনে সেই খবর শুনেই আমার স্বামী আত্মহত্যা করেন। পুলিশের কাছে আবেদন করেছি যাতে দু’জনেরই শাস্তি হয়।’’
চারু মার্কেট থানা এলাকার সুলতান আলম রোডে বাড়ি রণজিতের। আগে তিনি ফুটবল খেলতেন। তবে বর্তমানে অটো চালান। ওই এলাকাতেই থাকেন ফিরোজ এবং আশু। ঘটনার পর থেকে এলাকায় তাঁদের দেখা মেলেনি। পুলিশ দু’জনের খোঁজেই তল্লাশি শুরু করেছে। সেই সঙ্গে মৃত্যুর আগে রণজিৎ যে দুই বন্ধুকে মোবাইলে মেসেজ পাঠিয়েছিলেন, তাঁদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy