ফাইল চিত্র।
কেষ্টপুর, বাগজোলা খালের দূষণ নতুন কিছু নয়। বহু পুরনো এই সমস্যা। কিন্তু সেই সমস্যার থেকেও হয়তো বেশি ‘পুরনো’ হয়ে গিয়েছে সংশ্লিষ্ট খাল দু’টি নিয়ে জাতীয় পরিবেশ আদালতে দাখিল করা রাজ্যের হলফনামা! তাই ফের প্রয়োজন পড়েছে নতুন হলফনামার। বুধবার জাতীয় পরিবেশ আদালতে বাগজোলা, কেষ্টপুর খাল নিয়ে এক মামলায় রাজ্য সরকারের বক্তব্যের পরে এমনটাই মনে করছেন পরিবেশকর্মীদের একাংশ।
কারণ ওই শুনানিতে বাগজোলা ও কেষ্টপুর খালের দূষণ নিয়ন্ত্রণে কী কী করা হয়েছে, তা জানাতে নতুন একটি হলফনামা দাখিলের জন্য আদালতের কাছে সময় চেয়েছে রাজ্য। রাজ্যের তরফে বলা হয়েছে, যেহেতু এই সংক্রান্ত শেষ হলফনামাটি দাখিল করা হয়েছিল আট মাস আগে, তাই নতুন করে তা জমা দিতে কিছু সময় দেওয়া হোক। রাজ্যের সেই আর্জিতে সাড়া দিয়ে পরিবেশ আদালত নির্দেশ দিয়েছে, মামলার পরবর্তী শুনানি, অর্থাৎ চলতি বছরের ২৩ সেপ্টেম্বরের আগে ওই হলফনামা জমা দিতে হবে।
ওই একই সময়ের মধ্যে মামলায় আদালতবান্ধব হিসেবে নিযুক্ত পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত এবং ‘ন্যাশনাল মিশন ফর ক্লিন গঙ্গা অথরিটি’কেও (এনএমসিজি) হলফনামা দিতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। যেখানে এনএমসিজি-কে জানাতে হবে, কেষ্টপুর, বাগজোলা খালের পলি নিষ্কাশন-সহ সামগ্রিক সংস্কারে আর্থিক সহায়তা পাওয়ার জন্য রাজ্যের তরফে কোনও আবেদন জমা পড়েছে কি না। যদি জমা পড়ে, তা হলে তার বর্তমান অবস্থা জানাতে হবে। কারণ অতীতে এনএমসিজি জানিয়েছিল, খালের দূষণ নিয়ন্ত্রণে কোনও প্রকল্প তাদের আওতার মধ্যে থাকলে তারা আর্থিক সহায়তা করতে রাজি।
প্রশাসন সূত্রের খবর, ২০১৭ সালের নভেম্বর ও ডিসেম্বরে রাজ্য সেচ দফতরের তরফে এই বিষয়ে হলফনামা জমা দেওয়া হয়েছিল। আবার, ২০১৮-র সেপ্টেম্বর এবং ২০২০ সালের অক্টোবরে ওই একই বিষয় নিয়ে হলফনামা জমা দেওয়া হয়েছিল রাজ্য পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের তরফে। যার পরিপ্রেক্ষিতে আদালতবান্ধব হিসেবে নিযুক্ত সুভাষবাবু বলছেন, ‘‘শহরের নিকাশির সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত এই দু’টি খাল। অথচ তাদেরই সংস্কারে টালবাহানা করা হয়। আর এর জেরে বর্ষার জমা জলে ভুগতে হয় সাধারণ মানুষকে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy