Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Gariahat Police Station bank locker

চাবি গ্রাহকের কাছে, গড়িয়াহাটে লকার থেকে উধাও ৩০০ গ্রাম সোনার গয়না!

লকার থেকে উধাও হয়ে গেল গয়না! অভিযোগ এক দম্পতির।

প্রতীকী ছবি। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

প্রতীকী ছবি। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৬:০৮
Share: Save:

লকারের চাবি গ্রাহকের কাছে। কিন্তু সেই লকার থেকে উধাও হয়ে গেল গয়না! এমনটাই অভিযোগ এক দম্পতির।

তাঁদের অভিযোগ, একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের গড়িয়াহাট শাখায় তাঁদের লকার রয়েছে। আর সেই লকার থেকেই উধাও ৩০০ গ্রামেরও বেশি সোনার গয়না। তাঁরা গড়িয়াহাট থানাতে এ বিষয়ে অভিযোগও জানিয়েছেন। যদিও ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ এই অভিযোগ মানতে নারাজ। তবে, এই প্রথম নয়। এর আগেও ব্রেবোর্ন রোডের একটি বেসরকারি ব্যাঙ্ক থেকে গয়না উধাও হওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

কড়েয়া এলাকার ব্রড স্ট্রিটের বাসিন্দা ভীমচন্দ্র মাইতি এবং তাঁর স্ত্রী রেবা মাইতি। ভীম পেশায় চিকিৎসক। ওই দম্পতি গড়িয়াহাট থানায় জানিয়েছেন, একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের গড়িয়াহাট শাখায় তাঁদের যৌথ নামে একটি লকার রয়েছে। সেই লকার তাঁরা শেষ বার খুলেছিলেন গত বছর মে মাসের ১৬ তারিখ। দম্পতির দাবি, সেই সময় একটি স্টিলের বাক্সে তাঁরা প্রায় ৩০০ গ্রাম ওজনের সোনার গয়না রাখেন। এর কয়েকদিন পরেই তাঁরা তাঁদের ছেলের কাছে আমেরিকায় চলে যান।

অভিযোগ, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ফের মাইতি দম্পতি লকার খুলেদেখেন, ওই স্টিলের বাক্সে কোনও গয়না নেই। পাশে অন্য একটি বাক্সে অল্প কিছু গয়না পড়ে রয়েছে। পুলিশকে ওই দম্পতি জানিয়েছেন যে, তাঁরা বিষয়টি ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে জানান। কিন্তু, ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ সেই অভিযোগে কোনও গুরুত্ব দেননি। রেবা পুলিশকে জানিয়েছেন, ১৫ ফেব্রুয়ারি লকার খোলার সময় নিয়মমাফিক ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ তাঁদের কর্মী দিয়ে মাস্টার কি পাঠান ওই লকার খোলার জন্য। সেই সময়ে মাস্টার কি প্রথমে কাজ করছিল না বলে অভিযোগ রেবার।

আরও পড়ুন-গণনা শুরু যাদবপুরে, বিজ্ঞান বিভাগে বিপুল জয় ডব্লুটিআই-এর

যদিও ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ এই অভিযোগ মানতে নারাজ। ওই বেসরকারি ব্যাঙ্কের এক মুখপাত্র বৃহস্পতিবার বলেন,‘‘আমরা নিজেরা তদন্ত করেছি ওই দম্পতির অভিযোগ পেয়ে। ব্যাঙ্কের লকার যে পদ্ধতিতে তৈরি তাতে গ্রাহকের চাবি ছাড়া কোনও ভাবে সেই লকার খোলা সম্ভব নয়। আমাদের ধারনা, ওঁদের কোথায় ভুল হচ্ছে।’’ তবে ওই মুখপাত্র স্বীকার করেন যে, প্রায় ১ বছর আগে শেষ বার ওই লকার খোলা হয়েছিল। ফলে তার মাঝের সিসিটিভি ফুটেজও নেই। তা ছাড়া গ্রাহকের গোপনীয়তা রক্ষার জন্য লকার এলাকায় সিসিক্যামেরা লাগানো থাকে না। ফলে ওই দম্পতি দেশের বাইরে থাকাকালীন অন্য কেউ সেই লকার খোলার চেষ্টা করেছে কি না তা-ও জানা সম্ভব নয়।

আরও পড়ুন: উপহার থিয়েটার অগ্নিকাণ্ডে রায় সংশোধনের আর্জি খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট

গড়িয়াহাট থানার এক আধিকারিক বলেন, ‘‘আমরা অভিযোগ পেয়েছি। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ গ্রাহকের উপস্থিতি ছাড়া লকার খোলা যায় না বলে দাবি করলেও, ২০১৭ সালে ঠিক একই রকম অভিযোগ উঠেছিল বড়বাজারে। মঞ্জু আগরওয়াল নামে ওল্ড চিনাবাজারের এক বাসিন্দা পুলিশকে জানিয়েছিলেন যে তাঁর লকার থেকে গয়না উধাও হয়ে গিয়েছে। একটি বেরসরকারি ব্যাঙ্কের ব্রেবোর্ন রোডের শাখায় তাঁর লকার ছিল। সেই তদন্ত এখনও অমিমাংসিত।

অন্য বিষয়গুলি:

jewelry Kolkata Police Crime Gariahat Bank Rob
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy