ব্যাঙ্কশাল কোর্টে আরসালানকে গাড়ি থেকে নামাচ্ছে পুলিশ। নিজস্ব চিত্র।
শেকসপিয়ার সরণিতে গাড়ির ধাক্কায় দু’জনের মৃত্যুর ঘটনায়, অভিযুক্ত আরসালান পারভেজকে ১২ দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিল ব্যাঙ্কশাল কোর্ট। শুক্রবার মধ্যরাতের ওই দুর্ঘটনায় মৃত দু’জনেই ছিলেন বাংলাদেশের নাগরিক।
শনিবার সারা দিনের তদন্তের পর পুলিশ নিশ্চিত, এটি আচমকা ভুলে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনা নয়, বরং দুর্ঘটনার আগে থেকেই নিয়ম ভেঙে বেপরোয়া গাড়ি ছোটাচ্ছিলেন আরসালান পারভেজ। দুর্ঘটনার একটু আগেও ট্রাফিক সিগন্যাল ভেঙেছিলেন ঘাতক জাগুয়ারের চালক।
ধৃত আরসালান কলকাতা পুলিশের তদন্তকারী আধিকারিকদের জানিয়েছেন, রাতে তিনি রাসেল স্ট্রিট ধরে আসছিলেন। সেই বয়ান ধরে ওই রাস্তার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ। দেখা যায়, রাসেল স্ট্রিট থেকে জাগুয়ারটি মিডলটন স্ট্রিট ধরে। সেই রাস্তা ধরে জওহরলাল নেহরু রোডের সংযোগস্থলে বাঁ দিকে যাওয়ার সময় সিগন্যাল লাল ছিল। সেই সিগন্যাল ভেঙেই জাগুয়ারটি চলে যায় বিড়লা তারামণ্ডলের দিকে। সেখান থেকে বাঁ দিকে মোড় নিয়ে চলে যায় শেক্সপিয়র সরণিতে।
পুলিশ সূত্রে খবর, আরসালান সে রাতে মদ্যপানের কথা অস্বীকার করেছেন। যদিও পুলিশ তাঁর বক্তব্যের উপর ভরসা না করে জানার চেষ্টা করছে— রাসেল স্ট্রিটে তিনি কোথায় গিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: মধ্যরাতে বেপরোয়া জাগুয়ার, মৃত দুই বাংলাদেশি
আরসালান কলকাতার বিখ্যাত রেস্তরাঁ চেনের মালিকের ছেলে। তাঁর পরিবারের দাবি, রাত ১২টা নাগাদ গাড়ি নিয়ে বেরোন আরসালান। তা হলে রাত ১২টা থেকে পৌনে ২টো পর্যন্ত কোথায় তিনি ছিলেন, সেই তথ্য বার করার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা।
শুক্রবার মধ্যরাতে, মধ্য কলকাতায় কলামন্দিরের কাছে আরসালানের জাগুয়ার প্রচণ্ড গতিতে ধাক্কা মারে একটি মার্সিডিজ বেনজকে। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মার্সিডিজটি ধাক্কা মারে পুলিশ কিয়স্কের ছাইনিতে দাঁড়িয়ে থাকা তিন জনকে। দু’জনের মৃত্যু হয়। দু’জনেই বাংলাদেশি নাগরিক। চিকিত্সা করাতে এসেছিলেন কলকাতায়। সামান্য আহত হন তাঁদের আর এক সঙ্গী। দুর্ঘটনার পরই গাড়ি ফেলে পালিয়ে গিয়েছিলেন আরসালান। শনিবার দুপুরে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এই সেই ঘাতক জাগুয়ার। ইনসেটে অভিযুক্ত আরসালান পারভেজ। —নিজস্ব চিত্র।
আরও পড়ুন: বাজের কাছে প্রথম বার ‘হারল’ ভিক্টোরিয়ার পরি
আরসালানকে রবিবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করা হয়। শনিবার পুলিশ আরসালানের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৭৯ (বেপরোয়া গাড়ি চালানো), ৪২৭ (অন্যের সম্পত্তি নষ্ট), ৩০৪/২ (অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা) দায়ের করা হয়েছিল। রবিবার দুটি জামিন অযোগ্য ধারাও জোড়া হয়। এ দুটি হল ৩০৮ (অনিচ্ছাকৃত খুনের চেষ্টা) এবং পিডিপিপি আইনের ৩ নম্বর ধারা (সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস)।
আরও পড়ুন: বিরিয়ানির টেবিলেও দুর্ঘটনা নিয়ে কথা
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy