দিলীপ ঘোষ ও মুকুল রায় ফাইল চিত্র
বিধায়ক পদ থেকে মুকুল রায়ের ইস্তফার দাবি জানালেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। মঙ্গলবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠকে দিলীপ বলেন, ‘‘মুকুল রায় অন্য দলে গিয়েছেন, এ বার বিধায়ক পদও ছাড়া উচিত।’’ বিজেপি রাজ্য সভাপতির দাবি, মুকুল রায় সিনিয়র নেতা। ক্ষমতায় থাকতে চান বলেই দলবদল করেছেন কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক। দিলীপের দাবি, ‘‘যাঁরা বিজেপি-তে থাকতে পারছেন না, তাঁরা দল ছাড়ছেন। ২০১৯ সালের পর অনেকে বিজেপি-তে এসেছিলেন। আমাদের আর কেউ দল ছেড়ে যাবেন না।’’
মুকুল রায় তৃণমূলে ফিরে যাওয়ার পর তাঁর ঘনিষ্ঠরা দাবি করেছিলেন, তিনি ‘নৈতিক কারণে’ বিজেপি-র টিকিটে জেতা কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক পদ ছেড়ে দেবেন। তবে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশে সেই সিদ্ধান্ত বদলেছে। সূত্রের খবর, নতুন বিধানসভার যে সব কমিটি গঠিত হবে, তার মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পিএসি (পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি)-র চেয়ারম্যান করা হতে পারে মুকুলকে।
তবে, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সোমবার জানিয়েছেন, বুধবারই স্পিকারের কাছে মুকুলের বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর করার দাবি করবেন তাঁরা। তবে, দলত্যাগ বিরোধী আইন অনুযায়ী কোনও বিধায়ক বা সাংসদের সদস্যপদ খারিজ করার চূড়ান্ত ক্ষমতা দেওয়া রয়েছে সংশ্লিষ্ট আইনসভার স্পিকারকে। কবে, কার বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকরের পদক্ষেপ করা হবে বা আদৌ করা হবে কি না, সবেরই শেষ কথা তিনি। এই বিষয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘দলত্যাগ বিরোধী আইন সংবিধান স্বীকৃত।’’
এদিকে শিশির অধিকারী ও সুনীল মণ্ডলের সাংসদ পদ খারিজের দাবি জানিয়ে লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লার কাছে আবেদন জানিয়েছেন তৃণমূল। যদিও দিলীপ ঘোষের দাবি, ‘‘শিশির অধিকারী কোনও দলে যোগ দেননি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy