প্রতীকী ছবি।
একটি দোতলা বাড়ি থেকে এক ব্যক্তির রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। দেহটি ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়েছে। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার সকালে ইকো পার্ক থানা এলাকার হাতিয়াড়ার ঝিলবাগানে। মৃতের নাম রাজীবকুমার সিংহ (৪০)। পেশায় ট্যাক্স কনসালট্যান্ট ওই ব্যক্তির বাড়ি ফুলবাগানে।
তদন্তে জানা গিয়েছে, রাজীবের দেহ উদ্ধার হয়েছে যে বাড়ি থেকে সেটি রাকেশ ঝা নামে এক ব্যক্তির। যিনি মৃত ব্যক্তির ছোটবেলার বন্ধু।
তদন্তকারীরা জেনেছেন, রাজীব গত ৪-৫ দিন ধরে ঝিলবাগানের ওই বাড়িতে থাকছিলেন। সম্ভবত তাঁর নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা ছিল। তা এড়াতেই আত্মগোপন করেছিলেন বলে অনুমান পুলিশের। তবে সেই তথ্য যাচাই করে দেখা হচ্ছে।
এ দিন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বিধাননগর পুলিশ। পরে ফরেন্সিক দল ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করে। পুলিশ সূত্রের খবর, রাজীবের কপালে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ঘরের দেওয়ালে এমনকি দরজাতেও রক্তের দাগ মিলেছে। এটি খুনের ঘটনা নাকি অন্য কিছু, তা নিয়ে এখনও নিশ্চিত নয় পুলিশ। ময়না-তদন্তের রিপোর্ট পেলেই মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে জানা যাবে।
তদন্তে জানা গিয়েছে, এ দিন সকাল ৬টা নাগাদ রাকেশ তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে শ্যামবাজারের একটি নার্সিংহোমে যান। সেখানে স্ত্রীর নিয়মিত ডায়ালিসিস করা হয়। সেখান থেকে ফিরে এসে দোতলার ঘরে রক্তাক্ত অবস্থায় রাজীবকে দেখতে পান তাঁরা। খবর দেওয়া হয় রাজীবের ছেলেকে। অ্যাম্বুল্যান্স যত ক্ষণে সেখানে পৌঁছয়, তত ক্ষণে রাজীবের মৃত্যু হয়।
তদন্তকারীরা জানান, ওই বাড়ির দোতলার একটি ঘরে থাকছিলেন রাজীব। একতলায় রাকেশের পরিবারের সদস্যেরা থাকেন। রাকেশ এবং তাঁর স্ত্রী বেরিয়ে যাওয়ার পরে কেউ ওই বাড়িতে গিয়েছিলেন কি না, তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।
কোনও ব্যবসায়িক কিংবা ব্যক্তিগত শত্রুতা ছিল কি না সে সবও দেখছেন তদন্তকারীরা। পুলিশ সূত্রের খবর, মৃতের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, ব্যবসার দিক থেকে তাঁর উপরে মানসিক চাপ তৈরি করা হচ্ছিল। রাজীবের বাবা বীরেন্দ্র সিংহ এ দিন জানান, বেশ কিছু দিন ধরে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তাঁর ছেলে।
এক পুলিশ কর্তা জানাচ্ছেন, প্রাথমিক স্তরে রয়েছে তদন্ত। তবে সব দিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy