প্রতীকী ছবি।
ধর্মতলার টিকিট কাউন্টারের সামনে এক বাসকর্মী হেঁকে চলেছেন, ‘‘টিকিটপিছু ৫০ টাকা ছাড়। আগে এলে আগে পাবেন।’’ দিঘাগামী বাসের টিকিট বিক্রি করতে বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই কর্মীর চিৎকার বৃথাই গেল। টিকিটে ছাড় ঘোষণা করেও দিঘাগামী এসি ভলভো বাসটির অধিকাংশ আসন ফাঁকাই রয়ে গেল শেষ পর্যন্ত। ওই কর্মীর আফশোস, ‘‘ফণী-ই আমাদের ভাত মারল।’’
ধর্মতলার দিঘা ও পুরীগামী বাসগুলির টিকিট কাউন্টারের সামনে এ দিন যাত্রীদের লাইনের সেই চেনা ছবি উধাও। এ দিন সকালে দিঘা যাওয়ার বাস ছাড়লেও অধিকাংশ আসন ছিল ফাঁকা। যদিও উল্টো ছবি কলকাতাগামী বাসগুলির। প্রশাসনিক সতর্কতার জেরে তাড়াতাড়ি দিঘা বা পুরী ছাড়তে চাইছেন পর্যটকেরা। ফলে সেখান থেকে কলকাতাগামী বাসগুলিতে এখন উপচে পড়া ভিড়। সুযোগ বুঝে সে ক্ষেত্রে টিকিটের চড়া দাম হাঁকছে বেসরকারি বাসগুলি।
ধর্মতলায় একটি বাস পরিবহণ সংস্থার কর্ণধার মিলন মজুমদার জানান, এ দিন দুপুর থেকে ওই সংস্থার একটিও দিঘাগামী বাস ছাড়েনি। চাঁর কথায়, ‘‘আগামী শুক্রবারের অগ্রিম টিকিট শুধু বিক্রি হয়েছে। কেউ এখন দিঘা যেতে চাইছেন না।’’ বুধবার রাত থেকে যাত্রীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য ভাবে কমেছে বলে জানাচ্ছেন আর একটি টিকিট কাউন্টারের কর্মী মানব তালুকদারও।
ধর্মতলা থেকে সরকারি, বেসরকারি মিলে প্রায় চারশো বাস দিঘা যায়। এ দিন দিঘাগামী অধিকাংশ বেসরকারি বাসই যাত্রা শুরু করেনি। তবে চলছে দিঘাগামী সরকারি বাসগুলি, যদিও বেশির ভাগই ফাঁকা। ধর্মতলার এসবিএসটিসি বাসডিপোর এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘নিত্যযাত্রী অথবা দিঘার আগেই যাঁরা নেমে যাবেন, শুধু তাঁরাই এখন বাসে চাপছেন। ঘূর্ণিঝড়ের আগাম সতর্কবার্তার জন্যই দিঘার বাসে যাত্রিসংখ্যা তুলনায় কম।’’
একই অবস্থা পুরী যাওয়ার বাসগুলিরও। এ দিনই পুরী যাওয়ার সমস্ত বাস বাতিল হয়েছে। ওই বাসের এক টিকিট কাউন্টারের কর্মী বলছেন, ‘‘ধর্মতলা থেকে প্রতিদিন পুরী যাওয়ার ১০টি বাস ছাড়ে। এই দুর্যোগে আমাদের বেশ ক্ষতি হয়ে গেল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy