ফাইল চিত্র।
বাজারে কি কিছু দিনের মধ্যেই মাছের ঘাটতি হতে চলেছে? আপাতত এই প্রশ্নই ঘোরাফেরা করছে শহরের মাছ-বাজারে। কারণ, পূর্ব কলকাতা জলাভূমি এলাকার মাছচাষিদের একাংশের বক্তব্য, যে খালের মাধ্যমে শহরের নোংরা জল মাছের ভেড়িতে যায়, মেট্রো রেলের কাজের জন্য তার একাংশ অবরুদ্ধ হয়ে যাওয়ায় পর্যাপ্ত নোংরা জল ভেড়িতে আসছে না। যা এলাকার প্রায় দেড় লক্ষ মানুষের জীবিকাকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। যদিও কিছু দিনের মধ্যেই সংশ্লিষ্ট খালকে পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ।
পূর্ব কলকাতা জলাভূমি এলাকার মাছচাষিদের সংগঠন ‘২৪ পরগনা ফিশ প্রোডাকশন অ্যাসোসিয়েশন’ জানাচ্ছে, শহরের নোংরা জল ‘ড্রাই ওয়েদার ফ্লো ক্যানাল’ (ডিডব্লিউএফ) এবং টাউন হেড— এই দুই খালের মাধ্যমে মাছের ভেড়িতে যায়। টাউন হেড খালের মাধ্যমে আসা নোংরা জলের পরিমাণ নিয়ে সমস্যা নেই। তবে মেট্রোর কাজের জন্য অম্বেডকর সেতুর নীচের অংশের ডিডব্লিউএফ খালে পাইপ বসানোর কারণে পর্যাপ্ত পরিমাণে নোংরা জল আসছে না বলে দাবি সংগঠনের। যার প্রভাব পড়ছে মাছ-আনাজ চাষের উপরে। কারণ, সংশ্লিষ্ট এলাকার মাছ চাষের পুরোটাই শহরের নোংরা জলের জোগানের উপরে নির্ভরশীল।
ওই সংগঠনের সম্পাদক শশীদুলাল ঘোষ জানাচ্ছেন, একেই করোনা সংক্রমণের জেরে লকডাউনের সমস্যা, তার পরে গত দু’বছর নোংরা জলের ঘাটতি মাছ-আনাজ চাষের সমস্যাকে জটিল করে তুলেছে। তাঁর কথায়, ‘‘আগামী কিছু দিনের মধ্যে সমস্যার সুরাহা না হলে কলকাতার বাজারে জ্যান্ত চারাপোনা ও টাটকা আনাজের সরবরাহ প্রায় ৩০ শতাংশ কমে যাবে। চাষই যদি ঠিক মতো না করা যায়, তা হলে জোগানটা আসবে কোথা থেকে? এ নিয়ে সব স্তরে কথা বলার পরেও এখনও সমস্যার সমাধান হয়নি।’’
এ প্রসঙ্গে জানতে মেট্রো রেলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে সংস্থার এক পদস্থ আধিকারিক বলেন, ‘‘সমস্যা সমাধানের জন্য ওখানে পাম্প বসানো হয়েছে। তা ছাড়া কিছু দিনের মধ্যেই খালের পথ পরিষ্কার করে দেব।’’ রাজ্যের মৎসমন্ত্রী অখিল গিরির কথায়, ‘‘মাছচাষিদের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তার ভিত্তিতে দফতরের আধিকারিকদের এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সমস্যার সমাধানে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy