কলকাতা পুরসভাকে দ্রুত আদিগঙ্গা সাফাই ও ড্রেজিংয়ের কাজ শুরু করার নির্দেশ দিল জাতীয় পরিবেশ আদালতের পূর্বাঞ্চলীয় বেঞ্চ। সোমবার বিচারপতি এস পি ওয়াংদি এবং বিশেষজ্ঞ-সদস্য পি সি মিশ্রের নির্দেশ, পুরসভা কেমন কাজ করছে, তা সরেজমিন দেখতে হবে জাতীয় গঙ্গা সাফাই প্রকল্পের কর্তৃপক্ষকে। এ কাজে তারা প্রায় ৮৩ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। তা কী ভাবে খরচ করা হচ্ছে, তার অডিট করতে হবে।
আদিগঙ্গা দূষণমুক্ত করার কাজে রাজ্য সরকারের একাধিক দফতর ও সংস্থা জড়িত। আদালতের নির্দেশ, সব ক’টি দফতরের কাছেই যেন এই কাজ বিশেষ গুরুত্ব পায়। এ বিষয়ে মুখ্যসচিব বৈঠক ডেকে সমন্বয়ের কাজ করবেন। আদিগঙ্গার পাশে নিকাশি শোধনের জন্য তিনটি কেন্দ্র তৈরি হওয়ার কথা। তার একটির জমি এখনও মেলেনি। কলকাতা পুলিশের কাছ থেকে ওই জমি পুরসভার হাতে তুলে দেওয়ার জন্য মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্র দফতরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে তাঁদের রিপোর্টও দাখিল করতে হবে। আদিগঙ্গার পাশে বহু বেআইনি দখলদার রয়েছেন। ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, ওই দখলদারদের সরিয়ে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। আদিগঙ্গার সব রকমের দূষণ রুখতে রাজ্যকে সক্রিয় হতে হবে।
আদিগঙ্গার দূষণ নিয়ে পরিবেশ আদালতে মামলা করেন পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত। সেই মামলায় জানা যায়, এক সময়ে বণিকদের যাতায়াতের এই নদী এখন কার্যত নিকাশি নালায় পরিণত হয়েছে। দূষণও চরমে পৌঁছেছে। এ দিন শুনানিতে আদালতের মন্তব্য, কলকাতায় বন্যা রুখতে ও গঙ্গাকে বাঁচাতে আদিগঙ্গার দ্রুত পুনরুজ্জীবন জরুরি।
এ দিন ডিভিশন বেঞ্চের মন্তব্য, রাজ্যের বনাঞ্চল ও জলাশয়গুলি দ্রুত নষ্ট হচ্ছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এগুলি রক্ষার ভার আদালত নেবে। এর জন্য জনমানসের পাশাপাশি আইনি সচেতনতাও জরুরি। আদালতের নির্দেশ, এই মামলায় যুক্ত সব আইনজীবী একসঙ্গে আদিগঙ্গা সরেজমিন পরিদর্শন করবেন এবং কী ভাবে সেটি রক্ষা করা যায়, সে ব্যাপারে নিজেদের মক্কেলকে বোঝাবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy