প্রতীকী ছবি।
রবীন্দ্র সরোবর এলাকার বাসিন্দা চান্দ্রেয়ী দাসচৌধুরীর খুনের ঘটনায় তাঁর ভাইয়ের নার্কো পরীক্ষার নির্দেশ দিল আলিপুর আদালত। তবে জয় দাসচৌধুরী নামে ওই যুবকের সেই পরীক্ষা কবে হবে, তা এখনও ঠিক করেনি পুলিশ। সূত্রের খবর, পুজোর পরে প্রথমে পরীক্ষাকারী চিকিৎসককে ঠিক করা হবে। তার পরে সেই চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা করে দিন স্থির হবে। পুলিশ সূত্রের দাবি, সাম্প্রতিক কালে কলকাতায় কোনও ঘটনায় নার্কো অ্যানালিসিস হয়নি।
পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, রবিনসন স্ট্রিটের কঙ্কাল-কাণ্ডে পার্থ দে-কে এই পরীক্ষায় বসানোর কথা ভাবা হয়েছিল। কিন্তু তিনি মানসিক ভাবে সুস্থ না থাকায় তা করা হয়নি। শেক্সপিয়র সরণি থানা এলাকায় এক অভিনেত্রীর বাড়িতে চুরির ঘটনায় সন্দেহভাজন পরিচারিকার নার্কো পরীক্ষা করানোর কথা ভেবেছিলেন তদন্তকারীরা। কিন্তু পরিচারিকা রাজি না হওয়ায় পুলিশের আর্জি নামঞ্জুর করে আদালত। চান্দ্রেয়ীর মৃত্যুর ঘটনাতেও নার্কো পরীক্ষার অনুমতি মিলবে কি না, তা নিয়ে ধন্দে ছিলেন তদন্তকারী অফিসারেরা।
সরকারি আইনজীবী রাধানাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘প্রথমে আদালত জানিয়েছিল, কাউকে গ্রেফতার না করে নার্কো পরীক্ষা করা যায় না। কিন্তু পুলিশ এই বিষয়েই একটি মামলার প্রসঙ্গ টেনে জেলা দায়রা আদালতে ফের আবেদন করে জানায়, গ্রেফতার না করেও নার্কো পরীক্ষা করানো যায়।’’ তদন্তকারীদের একাংশের দাবি, জয়কে এই ঘটনায় সন্দেহের বাইরে রাখা হচ্ছে না।
সরকারি আইনজীবী জানিয়েছেন, ওই নির্দেশ দেওয়ার আগে বিচারক জয়ের কাছে জানতে চেয়েছিলেন, ‘নার্কো অ্যানালিসিস’ কী বা কোন পদ্ধতিতে করা হয়, তা তিনি জানেন কি না। জয় সম্মতি দেওয়ার পরেই বিচারক ওই নির্দেশ জারি করেন।
গত মে মাসে চান্দ্রেয়ীর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। সেই ঘটনায় মৃত্যুর ৫০ দিন পরে ময়না-তদন্তের রিপোর্ট পেয়ে পুলিশ জানতে পারে, চান্দ্রেয়ীকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। তাঁর মৃত্যু নিয়ে ভাই ও মাকে জেরা করেন তদন্তকারীরা। ভাই জয়ের কথায় পুলিশ একাধিক অসঙ্গতি পায়। খুনের কিনারা করতে পুলিশ আদালতে জয়ের নার্কো পরীক্ষার আবেদন করে। গত মাসে আদালতে গিয়ে জয় নার্কো পরীক্ষায় সম্মতি জানিয়ে আসেন। সেই আবেদন মঞ্জুর করে দায়রা আদালত সেটি ফের মুখ্য বিচারবিভাগীয় আদালতে পাঠায়। এর পরেই বিচারক পুলিশের ওই আবেদন মঞ্জুর করেন।
কী ভাবে ‘নার্কো অ্যানালিসিস’ হবে? পুলিশ জানিয়েছে, এক ধরনের ইঞ্জেকশন দিয়ে অভিযুক্তকে অর্ধ-চেতন করা হবে। ওই অবস্থায় তাঁর নিজের উপরে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকবে না। পুলিশের দাবি, সেই সময়ে ওই ঘটনা নিয়ে কোনও প্রশ্ন করা হলে সঠিক তথ্য বেরিয়ে আসবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy