প্রতীকী ছবি।
করোনা পরীক্ষা কেন্দ্রের পরে এ বার র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা কেন্দ্র চালুর চিন্তাভাবনা শুরু করেছে বিধাননগর পুরসভা। বর্তমানে বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করানোর ব্যবস্থা থাকলেও সংযুক্ত এলাকা, দত্তাবাদ-সহ একাধিক পিছিয়ে পড়া এলাকায় সংক্রমণ ক্রমেই বাড়ছে। তাই সেই পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই এমন চিন্তাভাবনা শুরু করেছেন পুর কর্তৃপক্ষ।
পুরসভার এক কর্তা জানান, র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষার মাধ্যমে রোগী আক্রান্ত কি না, সে সম্পর্কে দ্রুত ধারণা তৈরি করা যাবে। এর জেরে সংক্রমণ ঠেকাতে এলাকায় দ্রুত পদক্ষেপ করা সম্ভব। ইতিমধ্যে রাজারহাট এবং নিউ টাউনে র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা কেন্দ্র চালু হয়েছে। সল্টলেক এবং রাজারহাটে রয়েছে দু’টি করোনা পরীক্ষা কেন্দ্র। কিন্তু বিধাননগরে কোনও র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা কেন্দ্র নেই।
পুরসভা সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে বিধাননগরের কয়েকটি ওয়ার্ডে শতাধিক ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। কিন্তু লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষাগারে পাঠিয়ে তার রিপোর্ট আসতে প্রক্রিয়াগত কারণেই সময় লাগছে। অথচ এলাকাবাসীদের একাংশের হুঁশ ফেরেনি। রিপোর্ট আসা না-পর্যন্ত অপেক্ষা না করেই তাঁরা বাইরে যত্রতত্র ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এর জেরে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা বাড়ছে। তাই র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষার মাধ্যমে দ্রুত ফলাফল জানার প্রয়োজনীয়তাও বাড়ছে ওইসব এলাকায়।
ইতিমধ্যে বিধাননগর পুর এলাকায় আক্রান্তের সংখ্যা ৩৫০০ পেরিয়েছে। প্রায় ৬৫ শতাংশ আক্রান্ত সুস্থ হয়েছেন। দৈনিক আক্রান্তের হার প্রায় ৭০। তবে ৩৫, ৩৮ নম্বর-সহ বেশ কিছু ওয়ার্ডে শতাধিক ব্যক্তি আক্রান্ত হয়েছেন।
বিধাননগর পুরসভার মেয়র পারিষদ প্রণয় রায় জানান, সল্টলেক ও রাজারহাটের করোনা পরীক্ষা কেন্দ্রে লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষাগারে পাঠাচ্ছে। তবে র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষারও প্রয়োজন রয়েছে। তাই এই বিষয়ে পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy