করোনা আতঙ্কে ‘টক টু মেয়র’-এ যাচ্ছে ফোন।
‘টক টু মেয়র’-এও করোনাভাইরাস আতঙ্ক! শনিবার ওই অনুষ্ঠানে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের কাছে যে সমস্ত ফোন আসে, তার বেশ কয়েকটি ছিল করোনাভাইরাস নিয়ে। কেউ কেউ জানিয়েছেন, তাঁদের এলাকায় বিদেশ থেকে একাধিক লোকজন এসে রয়েছেন। দিব্যি ঘোরাঘুরিও করছেন। মেয়রের নিজের ওয়ার্ড থেকেও ওই অভিযোগ ওঠে। বলা হয়, হাসপাতালে যেতে বললেও যাচ্ছেন না বিদেশ থেকে আসা ওই ব্যক্তিরা। এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে মেয়রের কাছে আবেদন জানান তাঁরা। বিষয়টি সম্পর্কে তিনি খোঁজ নেবেন বলে আশ্বস্ত করেন মেয়র। কেউ বা জানতে চান, ওয়ার্ডে কেউ করোনায় আক্রান্ত হলে কী করবেন সেখানকার বাসিন্দারা? মেয়র পরে বলেন, ‘‘সকলকেই বলেছি, আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। সতর্ক থাকার আবেদন জানানো হয়েছে।’’
দেশ জুড়ে করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়ায় চিন্তিত সকলেই। ভিড় এড়াতে সরকারি-বেসরকারি জমায়েত, সভা, বৈঠক বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। সেই সূত্রে এ দিন ‘টক টু মেয়র’ বন্ধ রাখা নিয়েও প্রথমে কথা হয়েছিল। পরে অবশ্য মেয়র জানান, এখন মানুষের মনে করোনা নিয়ে প্রবল উদ্বেগ। সরকার, পুর প্রশাসন যে তাঁদের পাশে রয়েছে, তা জানাতেই টক টু মেয়র চালু রাখা হয়েছে। এ দিন ‘টক টু মেয়র’ অনুষ্ঠানে মাত্র চার-পাঁচ জন অফিসারকে নিয়ে বসেছিলেন মেয়র। ভিড় এড়াতেই ওই ব্যবস্থা।
চেতলায় মেয়রের নিজের ৮২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ফোন করে এক জন জানান, সেখানে এক বিদেশি ঘুরে বেড়াচ্ছেন। সদ্য এসেছেন বাইরে থেকে। তাঁকে দেখে এলাকার সকলেই ভীত। দরজা-জানলা বন্ধ রাখতে হচ্ছে। অবিলম্বে ওই বিদেশির স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা করার আবেদন জানান ওই ব্যক্তি। সব শুনে মেয়র তাঁকে আশ্বস্ত করে বলেন, ‘‘পুলিশকে বলছি ওই বিদেশির সম্পর্কে খোঁজখবর নিতে। কবে এসেছেন, কোথায় উঠেছেন, সবই দেখা হবে।’’ পরে মেয়র জানান, শুধু চেতলা নয়, কসবা থেকেও তাঁর কাছে এই ধরনের অভিযোগ এসেছে। সেখানেও পুলিশকে খোঁজ নিতে বলা হয়েছে। এ দিনের ‘টক টু মেয়র’ অনুষ্ঠানে করোনা নিয়ে সচেতনতার প্রসার এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ায় রাজ্য সরকারের প্রশংসা করে ফোন করেন একাধিক শহরবাসী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy