আতঙ্ক: মঙ্গলাহাটে বিক্রেতারা এলেও ক্রেতার সংখ্যা ছিল কম। মঙ্গলবার, হাওড়ায়। ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার
করোনা আতঙ্ক এ বার হাওড়ার মঙ্গলাহাটেও। প্রতি মঙ্গলবার জামা-কাপড়ের ওই হাটকে কেন্দ্র করে লক্ষাধিক ক্রেতা-বিক্রেতার সমাবেশ হয় হাওড়া প্রশাসনিক ভবন, জেলা আদালত ও হাওড়া পুরসভার সামনেই। কিন্তু এ দিন বিক্রেতা থাকলেও ক্রেতার সংখ্যা ছিল যথেষ্ট কম। সকালে হাট বন্ধের দাবিতে হাওড়া থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। জেলা প্রশাসনের অবশ্য বক্তব্য, হাট বন্ধ করার ব্যাপারে রাজ্য সরকারের কোনও নির্দেশিকা আসেনি। যদিও এ দিন থেকে বটানিক্যাল গার্ডেন বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করেছেন কর্তৃপক্ষ।
অন্য দিকে, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশ মেনে বুধবার থেকে আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত বটানিক্যাল গার্ডেন বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন উদ্যান কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি জন সচেতনতা গড়ে তুলতে আজ, বুধবার হাওড়ার পুলিশ কমিশনার কুণাল আগরওয়াল হাওড়া স্টেশন, বাসস্ট্যান্ড ও ফেরিঘাট চত্বরে করোনা সংক্রমণ ঠেকানোর প্রচারে নামতে পারেন বলে কমিশনারেট সূত্রের খবর।
এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ ব্যবসার কেন্দ্র মঙ্গলাহাটে প্রতি সোম ও মঙ্গলবার রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা মানুষের সমাগম হয়। দু’দিনে কয়েক কোটি টাকার বাণিজ্য হয়। রাজ্য সরকার জমায়েত করা নিয়ে নির্দেশিকা জারি করলেও এ দিন সকালে মঙ্গলাহাট অন্য মঙ্গলবারের মতোই শুরু হয়েছিল। পুলিশ জানায়, সকাল ৯টা নাগাদ জেলা বিজেপির পক্ষ থেকে জেলা সভাপতি সুরজিৎ সাহার নেতৃত্বে জনা পঞ্চাশেক সমর্থক হাওড়া থানা ঘেরাও করে হাট বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। মুহূর্তের মধ্যে হাট সংলগ্ন এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ায় অনেকেই দোকান বন্ধ করে বাড়ির পথ ধরেন। বিক্রেতারা জানান, যত বেলা গড়িয়েছে তত হাট ফাঁকা হয়ে গিয়েছে।
বজবজ থেকে আসা মহম্মদ সামসের আলি বলেন, ‘‘করোনার ভয়ে আজ আর ভাল বিক্রিবাটা হল না। কেউ কেউ বলছে দুটো সপ্তাহ হাট বন্ধ থাকবে। কী করে পেট চলবে জানি না।’’ দূর-দূরান্ত থেকে আসা মঙ্গলাহাট ব্যবসায়ীদের একাংশ তাই দোলাচলে পড়ে গিয়েছেন। প্রশাসন হাট বন্ধ করে দেবে না চালু রাখবে তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন সকলেই।
তবে এ দিন জেলাশাসক মুক্তা আর্য বলেন, ‘‘মঙ্গলাহাটের ব্যাপারে কোনও নির্দেশিকা আমরা পাইনি। হাটের জন্য প্রচুর মানুষের জমায়েত হয় ঠিকই। হাওড়া শিল্পাঞ্চলে অনেক জায়গাতেই জমায়েত হয়। বন্ধ করলে সবই বন্ধ করতে হয়। তবে হাটের জমায়েত নিয়ে কী করা যাবে তা নিয়ে আলোচনা চলছে।’’
এ দিকে, হাওড়া সিটি পুলিশের পক্ষ থেকে এ দিন হাট ব্যবসায়ীদের নিয়ে একটি সচেতনতা শিবির করা হয়। করোনা থেকে বাঁচতে কী কী করতে হবে তা জানিয়ে এ দিন সাধারণের জন্য লিফলেট ও মাস্ক বিলি করা হয় দাশনগর ট্র্যাফিক গার্ডে। ইতিমধ্যেই হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটের সমস্ত থানা এলাকায় করোনাভাইরাস নিয়ে পুলিশ লিফলেট বিলি শুরু করেছে। বিভিন্ন থানার সামনে স্যানিটাইজ়ার বুথ করা হয়েছে।
করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে শিবপুর বটানিক্যাল গার্ডেন বন্ধ করার কথা এ দিনই ঘোষণা করেছেন বটানিক্যাল গার্ডেনের যুগ্ম অধিকর্তা কণাদ দাস। তিনি বলেন, ‘‘আপাতত আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত গার্ডেন বন্ধ থাকবে। এর পরে যে রকম নির্দেশ আসবে তা প্রবেশপথের গেটে নোটিস দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy