ফাইল চিত্র।
পার্কের দেখভালের দায়িত্বে কেন্দ্রীয় পুর ভবন না বরো অফিস— কে থাকবে, তা নিয়ে বিতর্ক রয়েই গেল কলকাতা পুর প্রশাসনের অভ্যন্তরে।
দীর্ঘদিন ধরেই কাউন্সিলরদের একাংশ দাবি জানিয়ে আসছিলেন, পার্কের দায়িত্ব স্থানীয় ভাবে দেখভাল করা হোক। কারণ হিসেবে তাঁদের বক্তব্য ছিল, কেন্দ্রীয় ভাবে অনেক সময়েই তা ভাল ভাবে করা হয় না। কলকাতা পুর আধিকারিকদের একটা বড় অংশের অনুমান, সেই দাবি মেনে নিয়ে পুর কর্তৃপক্ষ নভেম্বরে একটি নির্দেশিকা জারি করে দিয়েছিলেন, পার্কের দেখভাল বরো স্তর থেকেই করা হবে। অথচ এত দিন ওই দেখভালের বিষয়টি কেন্দ্রীয় পুর ভবন থেকেই করা হত।
পুরকর্তাদের একাংশ আরও জানাচ্ছেন, উদ্যান দফতরের এত ‘গুরুত্বপূর্ণ রদবদল’-এর বিষয়টি করা হয়েছিল সংশ্লিষ্ট দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমারকে সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখে। এমনকি দেবাশিসবাবুকে যখন পার্কের দায়িত্বের হাত বদলের বিষয়টি নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, তখন তিনিও জানিয়েছিলেন বিষয়টি সম্পর্কে বিন্দুবিসর্গ জানেন না। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই মেয়র পারিষদকে ‘অগ্রাহ্য’ করে কী ভাবে এমন একটি নির্দেশিকা জারি হয়ে গেল, সেই বিতর্ক মাথাচাড়া দেয় পুর প্রশাসনের অভ্যন্তরে। এতে নিয়মভঙ্গ হয়েছে কি না, ওঠে
সেই প্রশ্নও।
গোটা বিতর্কের কেন্দ্রে ছিল গত ১৬ নভেম্বর জারি করা একটি নির্দেশিকা। যেখানে বলা হয়েছিল, এখন থেকে বছরভিত্তিক পার্কের দেখভাল, সরঞ্জাম সরবরাহ-সহ সমস্ত বিষয়টি বরো স্তর থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। পুর আধিকারিকদের একাংশের অনুমান, কাউন্সিলরদের দাবি মেনে নিয়েই পুর কর্তৃপক্ষ ওই নির্দেশিকা জারি করেছিলেন। কিন্তু ঘটনাচক্রে দেখা যায় যে, উদ্যান দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমারই বিষয়টি জানেন না। পুরসভা সূত্রের খবর, ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পরেই মেয়র পারিষদ পুর কমিশনারের কাছে বিষয়টি জানতে চান। কী কারণে এই নির্দেশিকা, তারও খোঁজখবর করেন।
পুরসভা সূত্রের খবর, তার পরেই পুর কমিশনারের অফিস থেকে সম্প্রতি আলাদা একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, শহর জুড়ে পার্কের দায়িত্ব আগের মতো কেন্দ্রীয় ভাবে উদ্যান দফতরই দেখভাল করবে। সে ক্ষেত্রে পুরো কাজের তদারকি করবেন সংশ্লিষ্ট দফতরের ডিরেক্টর জেনারেল। শুধু বস্তি এলাকার মধ্যে যে উদ্যানগুলি পড়ে, সেগুলি দেখভালের দায়িত্ব থাকবে বরো অফিসের উপরে। সংশ্লিষ্ট বরো অফিসের তরফে বস্তি এলাকার সমস্ত পার্কের
একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরি করা হবে। তার পরে সেই অনুযায়ী বরো ইঞ্জিনিয়ারিং দফতর সেগুলির রক্ষণাবেক্ষণ ও সৌন্দর্যায়ন করবে।
এ বিষয়ে মেয়র পারিষদ দেবাশিসবাবু বলেন, ‘‘পার্কের দেখভাল বরাবর কেন্দ্রীয় ভাবেই হয়ে এসেছে। ফলে সেটা যে আবার করা হয়েছে, সেটাই ভাল সিদ্ধান্ত। তবে এ নিয়ে আমি কাউকে কিছু জিজ্ঞাসা করিনি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy