Advertisement
০৬ নভেম্বর ২০২৪

ভাঙল বহুতলের কার্নিস, বাঁচলেন মা-ছেলে

বাসিন্দাদের অভিযোগ, আট ফুটের গলিটির চার ফুট ঢুকে পড়েছে বহুতল চত্বরে। স্থানীয় বাসিন্দা শঙ্কর দাস জানান, এ দিন সকালে সেখান দিয়ে ছেলেকে নিয়ে যাচ্ছিলেন এক মহিলা।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৩ জুন ২০১৮ ০২:৪১
Share: Save:

নির্মীয়মাণ বহুতলের একাংশ ভেঙে পড়ে অল্পের জন্য বাঁচলেন মা এবং সন্তান। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার সকালে, অর্জুনপুরের মাঝেরপাড়ায়। কিন্তু সরু গলির মধ্যে চারতলা ভবনের অনুমতি মিলল কী করে? সেই প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

বাসিন্দাদের অভিযোগ, আট ফুটের গলিটির চার ফুট ঢুকে পড়েছে বহুতল চত্বরে। স্থানীয় বাসিন্দা শঙ্কর দাস জানান, এ দিন সকালে সেখান দিয়ে ছেলেকে নিয়ে যাচ্ছিলেন এক মহিলা। তখন চারতলা বাড়িটির নির্মীয়মাণ কার্নিস ভেঙে পড়ে। প্রত্যক্ষদর্শী বাসন্তী গলুই বলেন, ‘‘সকলের চিৎকারে ছেলেকে নিয়ে পালিয়ে বাঁচেন মা। বাচ্চাটি ভয়ে কাঁদছিল। ভয়ে কাঁপছিলেন মহিলাও।’’ বাসিন্দা মমতা হুই বলেন, ‘‘সরু গলিতে চারতলার অনুমতি দেয় কী করে? ওই রাস্তার অর্ধেক তো দখলই করে নিয়েছে।’’ ঘটনাস্থলে উপস্থিত প্রোমোটার সিদ্ধার্থ চক্রবর্তী জানান, ২০১৪ সালে রাজারহাট-গোপালপুর পুরসভার অনুমতিতে ওই বাড়ি করছেন। স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর রীতা সাহার আত্মীয় আজাহার মণ্ডল বলেন, ‘‘চার তলা তৈরির খবর জানা ছিল না! সত্যি হলে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।’’ এ দিন ঘটনার প্রতিবাদে বাগুইআটি থানায় স্মারকলিপি জমা দেন স্থানীয়েরা। বিধাননগর সিটি পুলিশ সূত্রের খবর, প্রোমোটারের বিরুদ্ধে মামলা হতে পারে।

বিধাননগরের মেয়র সব্যসাচী দত্ত বলেন, ‘‘আগে কী হয়েছে বলতে পারব না। বেনিয়মের অভিযোগ এলে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’ রাজারহাট-গোপালপুরের তৎকালীন চেয়ারম্যান, অধুনা পুরনিগমের ডেপুটি মেয়র তাপস চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘চার বছর আগে কিসের প্রেক্ষিতে অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল, তা দেখা জরুরি। পরে অনুমোদিত নকশার বদল ঘটানো হয়েছে কি না দেখতে হবে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Constructed building cornice Injured
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE