পড়ুয়াদের প্রয়োজনীয় সংখ্যক হাজিরা নেই। তাই তাঁদের বিশেষ ক্লাস নিয়ে সেই হাজিরা দিয়ে দেওয়া হোক। এমনই অদ্ভুত প্রস্তাব এসেছে খোদ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলার এমএ বিভাগে দু’টি সেমেস্টারের মোট ২৩২ জন পড়ুয়ার পরীক্ষায় বসার মতো হাজিরা নেই। তাই তাঁরা কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। দাবি, পরীক্ষায় বসতে দিতে হবে। ইউজিসি-র নিয়মানুযায়ী পরীক্ষায় বসার জন্য পড়ুয়াদের থাকতে হবে ন্যূনতম ৭৫ শতাংশ নম্বর। কিন্তু ওই পড়ুয়াদের ৫৫ শতাংশ নম্বরও নেই। কর্তৃপক্ষ প্রথমে বিভাগীয় কমিটিকে বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বলে। কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়ে জানায়, ওই পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে পারবেন না। কিন্তু পড়ুয়ারাও নাছোড়। বুধবারও তাঁরা বিভাগে এসে পরীক্ষায় বসতে দেওয়ার দাবি জানান। এ দিন বিভাগীয় প্রধান সনৎ নস্কর জানিয়েছেন, উপাচার্য চাইছেন, ওই পরীক্ষার্থীদের বিশেষ ক্লাস করিয়ে প্রয়োজনীয় হাজিরা দিয়ে দিতে। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, যাঁরা নিয়মিত ক্লাস করেননি, তাঁদের কেন অতিরিক্ত ক্লাস করানো হবে? এই অতিরিক্ত ক্লাস কেনই বা শিক্ষকেরা নেবেন? বাংলা বিভাগ সূত্রের খবর, বহু পড়ুয়া নিয়মিত
ক্লাস না করে সেই সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশের বেশ কয়েকটি কোচিং সেন্টারে পড়েন। সনৎবাবু বলেন, ‘‘অতিরিক্ত ক্লাস কেন করাতে হবে, তা তো আমার মাথাতেও আসছে না। শিক্ষকেরাই বা রাজি হবেন কেন? আগামী কাল উপাচার্য এই বিষয়ে বৈঠক ডেকেছেন। দেখা যাক, কী হয়।’’ এ বিষয়ে উপাচার্য আশুতোষ ঘোষ এ দিন বলেন, ‘‘কেউ ডিসকলেজিয়েট হলে আমার কিছু করার নেই। কিন্তু বিশেষ ক্লাস করিয়ে হাজিরা বাড়ানোর নজির বিশ্ববিদ্যালয়ে আছে। আমি সেই বিষয়টা ভেবে দেখতে বলেছি।’’
প্রসঙ্গত, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ বারবারই বিতর্কের মুখে। কখনও শিক্ষক পদের বাছাই নিয়ে বিতর্ক। কখনও এমফিল প্রার্থী বাছাই নিয়ে। কখনও বা প্রথম শ্রেণি কেন কম পাচ্ছেন, তা নিয়ে পড়ুয়াদের বিক্ষোভ। হাজিরার জন্য দাবি তাতেই নতুন সংযোজন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy