এ বার কম্পিউটার বসছে অঙ্গনওয়াড়ি স্কুলে।
মূলত অসচ্ছল পরিবারের শিশুদের লেখাপড়ায় হাতেখড়ির জায়গা এই অঙ্গনওয়াড়ি স্কুলগুলি। চলতি নাম ডিম-ভাতের স্কুল। এ বার সেখানেই ছোটদের ছবি আঁকা থেকে নামতা পড়ার মাধ্যম হচ্ছে কম্পিউটার।
মাস পাঁচেক আগেই এই পরিকল্পনা মাথায় এসেছিল ব্যারাকপুরের মহকুমা শাসকের। নিজের দফতরের অব্যবহৃত কম্পিউটারগুলি অঙ্গনওয়াড়ি স্কুলগুলিতে ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেন তিনি। ব্যারাকপুর মহকুমায় ১৭টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের আওতায় রয়েছে কয়েকশো স্কুল। তার মধ্যে যেগুলিতে নিয়মিত পড়াশুনা হয়, সেগুলিকে বাছাই করে কম্পিউটার বসানো শুরু হয়েছে। ব্যারাকপুরের নাপিতপাড়ায় বসেছে দিন দুয়েক আগে। ঘোলার বিলকান্দার একটি অঙ্গনওয়াড়ি স্কুলে বুধবারই কম্পিউটারে মাউস ধরে ছবি আঁকা আর কবিতা পড়া শিখিয়েছেন উত্তর ২৪ পরগনার অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) সুরজিৎ বসু এবং ব্যারাকপুরের মহকুমাশাসক পীযূষ গোস্বামী।
পীযূষবাবু বলেন, ‘‘সরকারি প্রকল্প তো আছেই, কিন্তু সময়ের সঙ্গে তাল মেলাতে ওদের সাহায্য করাটা অভিভাবক হিসেবে আমাদের দায়বদ্ধতা।’’
রাজ্যের অঙ্গনওয়াড়ি স্কুলগুলিকে উন্নত করার ভাবনাটা অবশ্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সম্প্রতি তিনি আইসিডিএস প্রকল্পের এই স্কুলগুলির নামকরণ করেছেন ‘শিশু আলয়’। যেখানে সমাজের নিম্নবিত্ত পরিবারের শিশুরা শুধু দু’মুঠো খাওয়ার জন্যই আসবে না, নিজেদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ গড়ে তোলার বীজটাও ঢুকিয়ে দেওয়া হবে সেখানেই।
ব্যারাকপুর আরবান এরিয়ার সিডিপিও (চাইল্ড ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট অফিসার) পৃথ্বীরাজ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘অনেক সম্ভ্রান্ত ঘরের বাবা-মায়েরাও এখন একসঙ্গে খাওয়া এবং নিজেদের মধ্যে সবকিছু শেয়ার করতে শেখার জন্য তাঁদের সন্তানদের এই স্কুলগুলিতে পাঠাচ্ছেন। কম্পিউটারটা ওদের কাছে বাড়তি আকর্ষণ।’’ ব্যারাকপুর বা বিলকান্দার মতো আরও বেশ কয়েকটি স্কুলকে চিহ্নিত করা হয়েছে কম্পিটার বসানোর জন্য।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy