Advertisement
০৪ নভেম্বর ২০২৪

মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর ঝুলন্ত দেহ আবাসনে

পুলিশ জানায়, সোমবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে একবালপুর থানা এলাকার ১৭বি রজব আলি লেনের এক আবাসনের ফ্ল্যাটে। মৃতার নাম মির্জা ওয়াহিদা রহমান ওরফে প্রীতি (১৭)। বাড়ি হুগলির আরামবাগের কেশবপুরে।

—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০১:৩৮
Share: Save:

ছোটবেলায় মা মারা গিয়েছেন। নিজের একটি কিডনি নেই। তার উপরে রয়েছে হার্টের অসুখ। এমনকী, অস্ত্রোপচারও করতে হয়েছে বেশ কয়েক বার। মাত্র সতেরো বছর বয়সেই এ ভাবে শারীরিক অসুস্থতায় জর্জরিত হয়ে পড়েছিল এ বারের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। সোমবার ঘরের ভিতর থেকে তারই ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করল পুলিশ।

পুলিশ জানায়, সোমবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে একবালপুর থানা এলাকার ১৭বি রজব আলি লেনের এক আবাসনের ফ্ল্যাটে। মৃতার নাম মির্জা ওয়াহিদা রহমান ওরফে প্রীতি (১৭)। বাড়ি হুগলির আরামবাগের কেশবপুরে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ওই ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে।

পুলিশ জানিয়েছে, ছোটবেলায় মা মারা যাওয়ায় একবালপুরে জেঠিমার বাড়িতে থাকত প্রীতি। ওই এলাকারই একটি স্কুলে পড়ত সে। আগামী ১২ মার্চ থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসার কথা ছিল তার। এর মধ্যেই সোমবার এই ঘটনা ঘটে। এলাকা সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন দুপুরে নিজের ঘরেই ছিল প্রীতি। বহু ডাকার পরেও দরজা না খোলায় সেটি ভেঙে ঘরে ঢোকেন পরিবারের লোকেরা। তখন তাঁরা দেখেন, ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গামছা জড়ানো অবস্থায় ঝুলছে ওই ছাত্রীর দেহ। এর পরেই খবর দেওয়া হয় একবালপুর থানার পুলিশকে।

তদন্তকারীরা জানান, দেহটি এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে প্রীতিকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। প্রীতির ঘর থেকে একটি চিরকুট উদ্ধার হয়েছে। তাতে লেখা, মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। শারীরিক অসুস্থতার কারণেই নিজেকে শেষ করে দেওয়ার মতো সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হচ্ছে বলেও ইঙ্গিত রয়েছে। কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (সদর) সুপ্রতিম সরকার বলেন, ‘‘দীর্ঘদিন ধরে নানা রোগে ভুগছিল ওই ছাত্রী। সুইসাইড নোটে সেই কথাই উল্লেখ করা আছে। তবু সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Ekbalpur hanging suicide
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE