রবারের নানান জিনিস তৈরির কারখানাটির জমির উপরে প্রোমোটারদের নজর ছিল। দমদম নাগের বাজারের কাছে সাতগাছি এলাকায় সেই কারখানার অফিসঘরেই হাত-পা দড়ি দিয়ে বাঁধা অবস্থায় পাওয়া গেল প্রৌঢ় মালিকের পোড়া মৃতদেহ। এটা খুন এবং এই হত্যাকাণ্ডের পিছনে প্রোমোটার চক্রের হাত আছে বলে থানায় অভিযোগ করেছে নিহতের পরিবার।
পুলিশ জানায়, নিহত কারখানা-মালিকের নাম সজল সরকার (৫৫)। রবিবার রাত ১০টা নাগাদ তাঁর কারখানা থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সেই সঙ্গে পান পোড়া গন্ধও। সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশে খবর দেন তাঁরা। দমদম থানার পুলিশ পৌঁছে যায় ঘটনাস্থলে। তারাই পুড়ে কালো হয়ে যাওয়া দগ্ধ মৃতদেহটি উদ্ধার করে। ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বাসিন্দারা জানান, সজলবাবু ওই এলাকারই বাসিন্দা। অকুস্থলের কয়েকশো মিটারের মধ্যেই এ দিন উল্টোরথের মেলা বসেছিল। ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই ভিড় জমে যায়। প্রোমোটারদের দৌরাত্ম্য নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকেন অনেকে।
সজলবাবুর ভাই বিপুল সরকার বলেন, ‘‘দাদাকে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। তাঁর কারখানার জমিটির উপরে দীর্ঘদিন ধরেই প্রোমোটারদের লোভ ছিল। আমাদের সন্দেহ, তারাই দাদাকে পুড়িয়ে মেরেছে।’’ সজলবাবুর পরিবারের অভিযোগ, বহুতল ভবন নির্মাণের অভিসন্ধি নিয়ে এর আগেও প্রোমোটারেরা দু’বার ওই কারখানায় আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল। কোন প্রোমোটার বারবার এই ধরনের অপচেষ্টা চালাচ্ছে, বিপুলবাবু বা নিহতের অন্য আত্মীয়স্বজন তা অবশ্য জানাতে চাননি। এর পিছনে সত্যিই প্রোমোটারদের যোগসাজশ আছে কি না, পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy