কণিকা বন্দোপাধ্যায়। —নিজস্ব চিত্র।
কণিকা বন্দোপাধ্যায়ের (ছবিতে) কণ্ঠ এমন, উচ্চরবে কিছু ঘোষণা না করে নীরবে চারিয়ে যায় গলা থেকে সর্বশরীরে। কোনও কিছু প্রমাণের তাগিদ ছিল না তাঁর গায়নে। শান্তিনিকেতনের তন্নিষ্ঠ আশ্রমিকদের মতোই তাঁর চিন্তনে ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ও তাঁর গান। শোরি মিয়ার কাছে শেখা খাড়া খাড়া টপ্পার দানাকে সংহত গোলাকৃতি দিয়েছিলেন রামনিধি গুপ্ত, সেই আকার সাদরে গ্রহণ করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। গ্রহণ-বর্জনের সেই টপ্পা নিঃশর্ত সমর্পণে ধন্য হত কমলা বসু, নীলিমা সেন আর কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কণ্ঠে এসে।
বেছে গাইতেন, ছাত্রছাত্রীদের শেখাতেন বেছে। স্বরলিপিকে আপন ব্যক্তিত্বে রাঙিয়ে গান গাওয়াই ছিল একমাত্র কাজ। গায়কির যে শিক্ষা দিয়েছেন তাতে মাস্টারি নেই, আছে বিনি সুতোর কাঁথার কাজ। কেউ গাইলেই তাই বোঝা যেত, তাঁর শিক্ষাগুরুর নামটি— কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতায় এলে শুভ গুহঠাকুরতা বা বাণী ঠাকুরের বাড়িতে দেখা মিলত ওঁর। আর সন্তোষ সেনগুপ্তের পরিচালনায় রেকর্ডের ‘শ্যামা’কে যখন দেখা যেত মঞ্চে, তখন তিনি দেবব্রত বিশ্বাস হেমন্ত মুখোপাধ্যায় চিন্ময় চট্টোপাধ্যায়দের মাঝে স্নিগ্ধ প্রতিমা।
আগামী ১২ অক্টোবর কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্মশতবর্ষের সূচনা। বছরব্যাপী অনুষ্ঠানের উদ্যোগ করেছে ‘কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায় মেমোরিয়াল ট্রাস্ট’। শান্তিনিকেতনে কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি ‘আনন্দধারা’-য় আগামী বৃহস্পতিবার সকালে প্রথম পর্বের অনুষ্ঠান, শিল্পীর স্বকণ্ঠের কথায় গানে। থাকবেন দুই বাংলার শিল্পীরা, কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুজা বীথিকা মুখোপাধ্যায়-সহ শান্তিনিকেতনের আশ্রমিক পরিজন। অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর কণিকাকে বলতেন ‘আকবরি মোহর’, তারই সূত্র ধরে প্রকাশ পাবে একশোটি স্মারক মোহর, খ্যাত অলঙ্কার নির্মাতা সংস্থার সৌজন্যে। দ্বিতীয় পর্বে শিল্পীর পছন্দের গান, গাইবেন মোহন সিংহ প্রমিতা মল্লিক রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা স্বাগতালক্ষ্মী দাশগুপ্ত লিলি ইসলাম সাদি মহম্মদ অলক রায়চৌধুরী-সহ বিশিষ্ট শিল্পীরা, থাকবে স্মৃতিচারণ পাঠ কবিতাও।
শিল্পীর দু’টি গানের খাতার প্রতিলিপি সংস্করণ প্রকাশের পরিকল্পনা করা হয়েছে। বছরভর কলকাতা দিল্লি ত্রিপুরা-সহ নানা জায়গায় হবে অনুষ্ঠান, নৃত্যনাট্য-গীতিনাট্যের কর্মশালা, প্রদর্শনী। শান্তিনিকেতনে পুনরুজ্জীবিত হবে সঙ্গীত প্রতিষ্ঠান ‘কণিকাধারা’, বাংলাদেশে রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার সংস্থা ‘সুরের ধারা’-র সঙ্গে যৌথ অনুষ্ঠান হবে শান্তিনিকেতন ও বাংলাদেশে। ‘আনন্দধারা’য় তৈরি হবে আর্কাইভ ও প্রদর্শশালা, বাগানে বসবে শিল্পীর ভাস্কর্য। মেমোরিয়াল ট্রাস্টের সভাপতি বীথিকা মুখোপাধ্যায়, অনুষ্ঠানের নেতৃত্বে শতবর্ষ উদ্যাপন কমিটির সভাপতি রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, সমগ্র কর্মকাণ্ড সামলাচ্ছেন শিল্পীর পরিবারের এখনকার প্রজন্ম প্রিয়ম মুখোপাধ্যায়। এলমহার্স্ট ইনস্টিটিউট অব কমিউনিটি স্টাডিজ়, মোহর-বীথিকা অঙ্গন ও অগণিত শুভানুধ্যায়ী সঙ্গী ওঁদের।
আজও উজ্জ্বল
পঞ্চাশের দশকের মাঝামাঝি, গুরু দত্ত প্রোডাকশনের গানের কাজে মুম্বইয়ে সুধীন দাশগুপ্ত। সঙ্গী সুবীর সেন। সলিল চৌধুরীর ‘ধিতাং ধিতাং বোলে’-র ছন্দে বাংলা মুগ্ধ, একই সময়ে সুবীর সেনের জন্য সুধীন দাশগুপ্ত বানালেন ‘ওই উজ্জ্বল দিন’। হেমন্ত-সলিলে আচ্ছন্ন শ্রোতারা ভাসলেন এ গানে, মুগ্ধ স্বয়ং সলিলও। সে মুগ্ধতা কালে এমন জায়গায় পৌঁছল যে ‘উজ্জ্বল একঝাঁক পায়রা’-য় গ্ৰুপ ভায়োলিনের যে সঙ্গসুধা, সলিল চৌধুরীর সম্মতিতে সুধীন দাশগুপ্তেরই তৈরি তা। বহু যন্ত্র বাদনে পারদর্শী সুধীনবাবু বাংলা ছবিতে মান্না দে-কে নায়ককণ্ঠে প্রতিষ্ঠা দিয়েছেন; আরতি মুখোপাধ্যায় বা বনশ্রী সেনগুপ্তের আধুনিক গানে স্থিতি তাঁর কারণে। ৯ অক্টোবর সুধীন দাশগুপ্তের ৯৫তম জন্মদিন, তাঁকে মনে রেখে আজ সন্ধে ৫.৪৫-এ সল্ট লেক করুণাময়ীর কাছে পিএইচই অডিটোরিয়ামে স্মরণসন্ধ্যা সৃষ্টি পরিষদের। থাকবেন সুধীন দাশগুপ্তের পুত্র সৌম্য দাশগুপ্ত-সহ বিশিষ্ট শিল্পীরা।
সারস্বত
নিজেকে বলতেন ‘অনুতাপহীন মার্ক্সবাদী’। “ব্যাপক ঐতিহাসিক অর্থে আমি পার্টিতেই আছি,” দলীয় রাজনীতিতে যুক্ত না থাকলেও বলতেন এ কথা। দর্শন, ভারতবিদ্যা, ভাষাতত্ত্ব, সাহিত্যতত্ত্ব, সাহিত্য সমালোচনা, ইতিহাসে অনায়াস বিচরণ ছিল রামকৃষ্ণ ভট্টাচার্যের। আবার চার্বাক দর্শন-চর্চায় খ্যাত মানুষটি অঙ্কভাবনা নিয়েও বার করেছেন ধাঁধা পত্রিকা, ছোটদের জন্য লিখেছেন গল্প। ছাত্রদের কাছে ছিলেন আদর্শ শিক্ষকও, স্মৃতিচারণেই বোঝা যায় তা। গত ২ অক্টোবর বিকেলে রামমোহন লাইব্রেরি সভাঘরে তাঁর প্রথম প্রয়াণবার্ষিকীতে তাঁকে স্মরণ করলেন তাঁর ছাত্র বন্ধু গুণমুগ্ধরা। রামকৃষ্ণ ভট্টাচার্যের বক্তৃতার ভিডিয়ো প্রদর্শন হল; তাঁর নামাঙ্কিত প্রথম স্মারক বক্তৃতায় শমীক বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন ‘ফ্যাসিবাদের একশো বছর ও সাংস্কৃতিক বামপন্থা’ নিয়ে।
বিজ্ঞান-নাট্য
ছোট-বড় সবার কাছে বিজ্ঞানের নানা বিষয় সহজ করে তুলে ধরার মাধ্যম হতেই পারে নাটক। থিয়েটার খুলে দিতে পারে বিজ্ঞান-শিক্ষারও নতুন দিগন্ত। বিজ্ঞান ও নাটকের এই সূত্রটি ধরিয়ে দিতে প্রতি বছর ‘জাতীয় বিজ্ঞান নাটক উৎসব’ আয়োজন করে ন্যাশনাল কাউন্সিল অব সায়েন্স মিউজ়িয়মস, বিভিন্ন রাজ্য থেকে আসা ছাত্রছাত্রীরা সোৎসাহে যোগ দেয় বিজ্ঞান-শিক্ষার এই অভিনব নিরীক্ষায়। জাতীয় স্তরে প্রতিযোগিতার আগে, গত ২৭ সেপ্টেম্বর বিড়লা ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড টেকনোলজিক্যাল মিউজ়িয়মে (বিআইটিএম) হয়ে গেল আন্দামান বিহার সিকিম ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে গঠিত পূর্বাঞ্চলের বিজ্ঞান নাটক প্রতিযোগিতা। বিষয় ছিল দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ব্যবহার।
শিশু ও সাহিত্য
অতিমারি-উত্তর পৃথিবীর রং কি বদলে যাচ্ছে ছোটদের কাছে? চার পাশের জগৎ, গাছগাছালি পাখপাখালি, ফুল পাখি খেলা গল্প ছড়া কি আর টানে না আজকের শৈশব-কৈশোরকে? তারই তত্ত্বতালাশে নেমেছে আমপাতা জামপাতা আনন্দবার্ষিকী (সম্পা: দেবাশিস্ বসু)। ছোটদের জন্য কলম ধরেছেন এই সময়ের লেখকেরা। তবে সেখানেই শেষ নয়, আগামী কাল ৮ অক্টোবর বিকেল ৫টায় মহাবোধি সোসাইটি হল-এ পত্রিকার আয়োজন ‘শিশু-কিশোর সাহিত্য উৎসব’। থাকবেন সৌমিত্র বসু; কথা হবে শারদ সাহিত্য নিয়ে, শব্দ ঘিরে জমবে খেলার আসর, মনের যত্ন নিতে বইয়ের ভূমিকা প্রসঙ্গে বলবেন গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায়। ছোটদের নতুন গানের অ্যালবাম ‘আমপাতা জামপাতা গানের খাতা’ শোনা যাবে খুদে শিল্পী-কণ্ঠে।
বার্ষিক বক্তৃতা
আশির দশকে জন্ম চলচ্চিত্র-ভাবনার সাময়িকপত্র কল্পনির্ঝর-এর, নামকরণ শঙ্খ ঘোষের। সে সময় হিমঘর ছবির পরিচালক ও পরে চিত্রকরদের নিয়ে, চলচ্চিত্র-চর্চাকারী সন্দীপ রায়ের সম্পাদনায় পত্রিকাটি চলেছিল এক দশকেরও বেশি। পরে বন্ধ হয়ে গেলেও, এখনও অব্যাহত বার্ষিক ‘কল্পনির্ঝর বক্তৃতা’। ২৯ সেপ্টেম্বর ম্যাক্সমুলার ভবনে দ্বাদশ বক্তৃতাটি দিলেন বিদ্যার্থী চট্টোপাধ্যায়, ভারতীয় চলচ্চিত্রে শ্রমিক বিষয়ে। সত্যজিৎ-মৃণাল-সহ সর্বভারতীয় স্তরে সিনেমা প্রসঙ্গে উঠে এল নানা শ্রমজীবী মানুষের কথা। গ্যোয়টে ইনস্টিটিউট ও কল্পনির্ঝর ফাউন্ডেশন-এর এই অনুষ্ঠানে প্রকাশ পেল থিমা-প্রকাশিত বিদ্যার্থীর নতুন বই ডেসপেয়ার অ্যান্ড ডিফায়েন্স: সিনেমা অব দ্য লেবারিং ক্লাসেস, জামশেদপুরের সেলুলয়েড চ্যাপ্টার-এর সঙ্গে যৌথ ভাবে।
বহুমুখী প্রতিভা
১৯৬৮-তে এ শহরে ‘পশ্চিমবঙ্গ প্যারাসাইকোলজিক্যাল সোসাইটি’ গড়েন বিমলচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, যার আজীবন সদস্য ছিলেন সত্যজিৎ রায় (ছবিতে দু’জনে)। তার পর তো সত্যজিৎ লিখলেন সোনার কেল্লা, ছবিও হল তা থেকে, এবং বন্ধু বিমলচন্দ্র সে ছবিতে অভিনয় করলেন শিবরতন মুখোপাধ্যায়ের চরিত্রে। জন অরণ্য, জয় বাবা ফেলুনাথ, হীরক রাজার দেশে, ঘরে বাইরে ছবিতে যেমন, অভিনয় করেছেন মৃণাল সেনের খারিজ-এও। অভিনয়ের বাইরেও তাঁর বহুমুখী পরিচয়: গ্রন্থপ্রেমী, সঙ্গীতজ্ঞ, সংগ্রাহক। দিলীপকুমার রায় কলকাতায় গাইতে এলে সঙ্গত করতে হত বিমলচন্দ্রকে, সখ্য ছিল কাজী নজরুল দাদাঠাকুর মধু বসু ধীরাজ ভট্টাচার্যের সঙ্গে। বহুমুখী প্রতিভার এই মানুষটিকে নিয়ে এ বার সকলই বিমল (সম্পা: চন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়) নামে একটি বই প্রকাশ করছে পত্রভারতী, আজ ৭ অক্টোবর বিকেল ৪টেয় শ্রীঅরবিন্দ ভবনে। বইয়ে রয়েছে বিমলচন্দ্রের লেখা নিবন্ধ, তাঁকে লেখা গুণিজনের চিঠি, তাঁকে নিয়ে মৌলিক নানা লেখা; এ ছাড়াও আঁকিয়েদের রসচিত্র, আলোকচিত্রের সম্ভার।
শিল্প ও শিল্পী
যৌবনে যক্ষ্মাক্রান্ত হয়ে কয়েক বছর কাটে হাসপাতালে, সেখানেই সময় কাটাতে স্কেচ আঁকা শুরু। ক্রমে ছবি আঁকাই হয়ে ওঠে সুবোধ দাশগুপ্তের নেশা ও পেশা। আর্ট কলেজে যাননি, শিল্পীর প্রতিষ্ঠা পেতে বাধেনি তাতে। সমরেশ বসুর গঙ্গা থেকে শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়ের কুবেরের বিষয় আশয় (ছবি), বহু সাহিত্যকৃতি সজ্জিত তাঁর আঁকা ছবিতে। যশস্বী প্রচ্ছদশিল্পীও— প্রথম প্রচ্ছদ বিমল করের কাচঘর; সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় সমরেশ মজুমদারের মতো লেখকদের প্রথম প্রকাশিত উপন্যাসগ্রন্থের প্রচ্ছদ তাঁর আঁকা। আনন্দবাজার পত্রিকা-য় সাতের নামতা, নিখোঁজের সন্ধানে কমিকসেও তিনি; আবার হাত বাড়ালেই বন্ধু, অনুষ্টুপ ছন্দ, রাজদ্রোহী ছবির প্রচার-অলঙ্করণেও। সন্দেশ-এ তাঁকে দিয়ে ছবি আঁকিয়েছিলেন সত্যজিৎ রায়। আগামী ৮ থেকে ১৪ অক্টোবর, বিকেল ৪টে থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত অ্যাকাডেমি অব ফাইন আর্টস-এর ওয়েস্ট গ্যালারিতে সুবোধ দাশগুপ্তের কাজ নিয়ে প্রদর্শনী, উদ্বোধন করবেন গণেশ হালুই।
কাঁথার কাজ
সুচ-সুতোয় ওঁরা বুনে চলেন জীবনের কথা। মা-দিদিমার হাত ধরে প্রজন্মের পর প্রজন্মে বয়ে চলা বাহারি নকশিকাঁথা বাংলার গর্ব। এই শিল্প-পরম্পরাকে তুলে ধরতেই পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের আয়োজনে ২০১৮-তে শুরু হয় নকশিকাঁথা প্রদর্শনী, এ বছর পদার্পণ পঞ্চম বর্ষে। গত ৫ অক্টোবর শুরু হয়েছে গগনেন্দ্র প্রদর্শশালায়, তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের অন্তর্গত লোকসংস্কৃতি ও আদিবাসী সংস্কৃতি কেন্দ্রের উদ্যোগে। বীরভূমের মমতাজ বিবি মাফুজা বেগম মনজিমা খাতুন সাহিদা বেগম মাবেয়া বিবি ও রাফেয়া বিবি, নদিয়ার পার্বতী আচার্য ও হাবিবা মণ্ডল, মুর্শিদাবাদের বিলকিস রাবেয়া, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার আসমা সুলতানা, পূর্ব বর্ধমানের শেখ নূরজাহান ও পশ্চিম বর্ধমানের লাইলি বিবিরা থাকছেন তাঁদের কাঁথাশিল্পের সম্ভার নিয়ে। প্রদর্শনী চলবে আগামী কাল, রবিবার পর্যন্ত— দুপুর দু’টো থেকে রাত ৯টা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy