শহরতলি ও দূরপাল্লার ট্রেন ছাড়াও ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর যাত্রীদের একাংশের ভিড় মিলিয়ে দৈনিক প্রায় ২৫ লক্ষ যাত্রীর চাপ সামলাতে হয় শিয়ালদহ স্টেশন কর্তৃপক্ষকে। আগামী এক বছরের মধ্যে সেক্টর ফাইভ থেকে হাওড়া ময়দান পর্যন্ত পথ ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর মাধ্যমে জুড়ে গেলে শিয়ালদহে যাত্রীদের যাতায়াত আরও বাড়বে। তা মাথায় রেখে ভিড় নিয়ন্ত্রণে একাধিক পদক্ষেপ করছেন শিয়ালদহ স্টেশন কর্তৃপক্ষ। বেলেঘাটা, সল্টলেক, ইএম বাইপাসের দিক থেকে আসা যাত্রীদের সুবিধার জন্য সম্প্রতি শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার লাগোয়া অংশে একটি প্রবেশপথ চালু করছেন তাঁরা। ওই পথ ধরে যাত্রীরা শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখা ছাড়াও দূরপাল্লার ট্রেন ধরার জন্য সরাসরি স্টেশনে আসতে পারবেন। ক্যানাল ইস্ট রোড ছেড়ে বেরিয়ে পার্সেল আসার পুরনো রাস্তা ধরে কিছুটা এগোলেই দক্ষিণ শাখা লাগোয়া ওই প্রবেশপথ তৈরি করা হয়েছে। যাত্রীরা ওই পথে স্টেশন থেকে বেরোতেও পারবেন। ফলে শিয়ালদহ স্টেশনের পশ্চিম দিকের প্রবেশপথের উপরে চাপ কমবে বলে জানাচ্ছেন রেলের আধিকারিকেরা।
এর পাশাপাশি, ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর শিয়ালদহ স্টেশনের পশ্চিম প্রান্তে কোর্ট ও বাজার থেকে যাত্রীদের সরাসরি মূল স্টেশনের উত্তর এবং মেন শাখার প্ল্যাটফর্মে পৌঁছনোর জন্য একটি ভূগর্ভ পথও সম্প্রতি খুলে দিয়েছেন রেল কর্তৃপক্ষ। ট্যাক্সি স্ট্যান্ড লাগোয়া এলাকা থেকে উত্তর ও মেন শাখা পর্যন্ত বিস্তৃত পুরনো সাবওয়েকে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর স্টেশন নির্মাণের সময়ে আরও দীর্ঘ করে কোর্ট পর্যন্ত সম্প্রসারিত করা হয়েছিল। সেটি সম্প্রতি খুলে দিয়েছে রেল।
রেলকর্তাদের মতে, নতুন এই দুই পদক্ষেপ স্টেশনে যাত্রীদের মসৃণ যাতায়াত ত্বরান্বিত করার পাশাপাশি ভিড় নিয়ন্ত্রণেও বিশেষ কার্যকর হবে।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)