ধর্মতলায় ডাক্তারদের ধর্না মঞ্চে। বৃহস্পতিবার। ছবি: সুমন বল্লভ।
আরও কয়েক দিন ধর্মতলায় অবস্থান চালানোর আবেদন নাকচ করেছিল পুলিশ। তাই হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অব ডক্টর্স’। বৃহস্পতিবার ছিল সেই মামলার শুনানি। তাতে চিকিৎসকদের যৌথ মঞ্চকে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যেতে নির্দেশ দিল আদালত। তবে বিচারপতি প্রসেনজিৎ বিশ্বাসের নির্দেশ, সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত কর্মসূচি করা যাবে।
এরই সঙ্গে ডিভিশন বেঞ্চের পূর্বের নির্দেশ অনুযায়ী আইনশৃঙ্খলা বজায় রেখে, উস্কানিমূলক মন্তব্য না করে, সর্বাধিক ১০০ জন অংশগ্রহণকারী নিয়ে অবস্থান চালানোর কথা বলেছেন বিচারপতি। কলকাতার যুগ্ম নগরপালকে এই কর্মসূচির তদারকি ও পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আগামী ২ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানির দিন পুলিশকে কর্মসূচি সংক্রান্ত রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
এ দিন যৌথ মঞ্চের তরফে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য আদালতে জানান, শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ প্রকাশ করা জনগণের মৌলিক অধিকার। সেই অধিকার রাজ্য খর্ব করতে পারে না। ২৬ ডিসেম্বরের পরেও কর্মসূচি চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য পুলিশের কাছে আবেদন জানালেও তা নাকচ করা হয়েছে। রাজ্য সরকার একক বেঞ্চের নির্দেশের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন জানিয়েছিল। অবস্থানে উপস্থিতির সংখ্যা ১০০ করার নির্দেশ দিয়েছিল ডিভিশন বেঞ্চ। সেই নিয়ম মেনেই ধর্না চালানো হচ্ছে। পাল্টা রাজ্যের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ডিভিশন বেঞ্চেও দিন বাড়ানোর কথা বলেনি চিকিৎসকদের সংগঠন। বড়দিনের উৎসব চলছে। সামনেই নতুন বছর। পার্ক স্ট্রিট ছাড়াও শহরের একাধিক স্থানে ভিড় হচ্ছে। তবে আদালতের নির্দেশও অমান্য করা হয়েছে। গার্ডরেল সরানো, জমায়েত করে রাস্তা আটকানো হচ্ছে। পাল্টা বক্তব্যে বিকাশ জানান, শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রেখে অবস্থান চালানো যায় ও তাঁরা সেটি চালাতে চান। উভয় পক্ষের কথা শুনে বিচারপতি প্রসেনজিৎ বিশ্বাস জানতে চান, কত দিন ওই কর্মসূচি চালাতে চাইছেন? তাতে যৌথ মঞ্চের এক আইনজীবী শামিম আহমেদ জানান, অন্তত ১০ দিনের অনুমতি দেওয়া হোক।
দ্রুত সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা, সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশে অবিলম্বে রাজ্যের সম্মতি এবং আর জি করের তরুণী পড়ুয়া-চিকিৎসককে খুন ও ধর্ষণে তথ্যপ্রমাণ লোপাটে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য এ দিন মুখ্যসচিব ও সিবিআইয়ের দফতরে যান যৌথ মঞ্চের প্রতিনিধিরা। মুখ্যসচিবের সঙ্গে দেখা না হওয়ায় চিঠি জমা দেন তাঁরা। চিকিৎসক উৎপল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিক ও অন্য কর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁরা দাবি করেছেন, আরও গভীরে গিয়ে তদন্ত হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy