Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
কড়েয়া

ভোরের রাস্তায় গুলিবিদ্ধ দেহ ঘিরে চাঞ্চল্য

সাতসকালে শহরের রাস্তা থেকে উদ্ধার হল ভিন্ রাজ্যের এক ব্যক্তির গুলিবিদ্ধ দেহ। বৃহস্পতিবার, কড়েয়ার মিয়াজান ওস্তাগর রোডের ঘটনা। মৃতের নাম শৈলেশ সম্পতরাও সিন্ধে (৪১)। তিনি মহারাষ্ট্রের থানের বাসিন্দা। এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে শিয়ালদহ থেকে মহম্মদ শাহনওয়াজ নামে এক ব্যক্তি (৩৫) গ্রেফতার হয়েছে।

শৈলেশ সম্পতরাও সিন্ধে।

শৈলেশ সম্পতরাও সিন্ধে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৫ মে ২০১৫ ০০:২৫
Share: Save:

সাতসকালে শহরের রাস্তা থেকে উদ্ধার হল ভিন্ রাজ্যের এক ব্যক্তির গুলিবিদ্ধ দেহ। বৃহস্পতিবার, কড়েয়ার মিয়াজান ওস্তাগর রোডের ঘটনা। মৃতের নাম শৈলেশ সম্পতরাও সিন্ধে (৪১)। তিনি মহারাষ্ট্রের থানের বাসিন্দা। এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে শিয়ালদহ থেকে মহম্মদ শাহনওয়াজ নামে এক ব্যক্তি (৩৫) গ্রেফতার হয়েছে। সে মিয়াজান ওস্তাগর রোডেরই বাসিন্দা। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জেনেছে, শৈলেশের ২২ লক্ষ টাকা বাকি ছিল শাহনওয়াজের কাছে। তা থেকেই হয়তো এই খুন বলে পুলিশের অনুমান। তবে খুনের অস্ত্র এখনও উদ্ধার হয়নি।

পুলিশ জেনেছে, শৈলেশের পরিস্রুত পানীয় জলের পারিবারিক ব্যবসা রয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোর চারটে নাগাদ খবর পেয়ে পুলিশ মিয়াজান ওস্তাগর রোডে যায়। সেখানে বসে থাকা অবস্থায় শৈলেশের দেহটি মেলে। শৈলেশের বুকে দু’টি ও মাথায় একটি পিস্তলের গুলি বিঁধেছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে গুলির খোল মিলেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ময়না-তদন্তে শৈলেশের পেটে মদ মিলেছে। এ দিনই মহারাষ্ট্র পুলিশের মাধ্যমে মৃতের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগও করেছে কলকাতা পুলিশ।

পুলিশ জেনেছে, মঙ্গলবার দুপুরে শৈলেশ পার্ক সার্কাসের একটি বেসরকারি হোটেলে ওঠেন। হোটেল সূত্রে খবর, স্থানীয় কেউ শৈলেশকে হোটেলে নিয়ে আসেন। তিনি নিজের পরিচয় দেন ব্যবসায়ী বলে। হোটেলের খাতায় নাম লেখার সময় পরিচয়পত্র হিসেবে আধার কার্ডও দেখান। বুধবার দুপুরে দু’জন শৈলেশের সঙ্গে দেখা করতে আসেন। তাঁদের মধ্যে এক জন নিজেকে শৈলেশের দাদা বলে পরিচয় দেন। তাঁরা দু’জনেই শৈলেশের ঘরে যান। হোটেলের এক কর্মী জানান, রাত সাড়ে দশটা নাগাদ ওই দু’জনকে ঘরে রেখে শৈলেশ বাইরে যান। তার পরে আর ফেরেননি।

হোটেল সূত্রে খবর, রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ শৈলেশের পরিচিত ওই দু’জন কয়েক বার বাইরে যান। কিছুক্ষণ পরে ফিরেও আসেন। রাত আড়াইটে নাগাদ তাঁরা শেষ বারের মতো ফেরেন। কিন্তু শেষ রাতের দিকে কাউকে না জানিয়ে চলে যান।

বৃহস্পতিবার হোটেলের ঘরটি পরীক্ষা করেন গোয়েন্দারা। পুলিশ জানায়, একটি ব্যাগে শৈলেশের পরিচয়পত্র ও অন্য কিছু নথি মিলেছে। তবে শৈলেশের মোবাইল পাওয়া যায়নি। হোটেলের সিসিটিভি-র ফুটেজ খতিয়ে দেখলেও তা স্পষ্ট নয়। এ দিন দফায় দফায় হোটেলের কর্মী, ম্যানেজার, স্থানীয় বাসিন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। শৈলেশের পরিচিত ওই দুই ব্যক্তির খোঁজ চলছে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE