যাত্রীর প্রতীক্ষায় জোড়ামন্দির বাসস্টপ। ছবি: শৌভিক দে।
যাত্রী-ছাউনি রয়েছে। তবু যাত্রীরা বাসের প্রতীক্ষায় মাঝ রাস্তায় চলে আসেন। সেখানে বাসও দাঁড়ায়। ভিআইপি রোড ও যশোর রোডের চেনা ছবি এটা। অথচ গত বিধানসভা ভোটের আগে রাজারহাট-গোপালপুর এলাকায় মন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসুর বিধায়ক তহবিলের টাকায় বেশ কয়েকটি যাত্রী-ছাউনি হয়েছিল। অভিযোগ, সেখানে বাস দাঁড়ায় না। তাই রাস্তায় দাঁড়িয়েই প্রতীক্ষা করেন যাত্রীরা।
ভিআইপি রোডের উপরে গুরত্বপূর্ণ তিনটি বাসস্টপ— বাগুইআটি, জোড়ামন্দির ও কেষ্টপুর। সারাদিন যাত্রীর ভিড় লেগেই থাকে সেগুলিতে। যাত্রীদের অভিযোগ, ছাউনির সামনে কখনওই বাস দাঁড়ায় না। ফলে বাগুইআটি, কেষ্টপুর, জোড়ামন্দির থেকে বাস ধরতে যাত্রীরা রাস্তার মাঝে দাঁড়িয়ে পড়েন।
যাত্রীদের দাবি, যশোর রোডের উপরে সাতগাছি যাত্রী-ছাউনির আশপাশ দখল হয়ে গিয়েছে। বাস না থামায় সেখানে যাত্রীরা কোনওদিনই দাঁড়ান না। নাগেরবাজার মোড়ের যাত্রী-ছাউনিটি আগলে রেখেছে নাগেরবাজার-দমদম অটোস্ট্যান্ড। একই ভাবে বিমানবন্দরগামী রাস্তায় কেষ্টপুর যাত্রী-ছাউনির সামনের রাস্তা অটোস্ট্যান্ডের দখলে। যাত্রীরা জানান, রোদ-বৃষ্টি হলেই তাঁরা যাত্রী-ছাউনিতে আশ্রয় নেন।
কেন এই পরিকল্পনার অভাব? যদিও বিষয়টিকে পরিকল্পনার অভাব বলে মানছে না পূর্ত দফতর। বারাসত হাইওয়ে ডিভিশন (১) এর এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার সত্য বসু বলেন, ‘‘ট্র্যাফিক পুলিশের সঙ্গে পরামর্শ করেই যাত্রী-ছাউনি তৈরি হয়েছিল। তবু কেন বাস দাঁড়ায় না তা পুলিশ জানে।’’
বিধাননগর কমিশনারেটের এডিসিপি (ট্র্যাফিক) জয় টুডু বলেন, ‘‘অভিযোগ পেয়েছি। শীঘ্রই বাস ইউনিয়নের সঙ্গে বৈঠক করে জানিয়ে দেওয়া হবে, যাত্রী-ছাউনির সামনেই বাস দাঁড়ানো বাধ্যতামূলক।’’
রাজারহাট-গোপালপুর এলাকার বিধায়ক পূর্ণেন্দুবাবুর দাবি, ‘‘যাত্রীদের স্বার্থেই ছাউনিগুলি করা। বাস যাতে ছাউনির সামনেই দাঁড়ায় সেই ব্যবস্থা করতে বলা হবে পুলিশকে। যাত্রীরাও রাস্তায় না দাঁড়ালে চালক বাধ্য হবেন ছাউনির সামনে বাস দাঁড় করাতে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy