নতুন আলো বসানো হয়েছে কালীঘাট মেট্রো স্টেশনের উত্তরের প্রবেশপথে। ছবি: সংগৃহীত।
বিদ্যুতের খরচ কমাতে উত্তর-দক্ষিণ মেট্রোর বিভিন্ন স্টেশনে ২০১৮ সাল থেকে প্রথম এলইডি আলোর ব্যবহার শুরু হয়েছিল। এ বার ব্লু
লাইন তথা উত্তর-দক্ষিণ মেট্রোর একাধিক স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে আরও উন্নত মানের আলো লাগানোর কাজ শুরু করেছেন কর্তৃপক্ষ।
বিদ্যুতের সাশ্রয়ের পাশাপাশি, নতুন আলোর ঔজ্জ্বল্য ও তীব্রতা বিমানবন্দরের টার্মিনালের আলোর পর্যায়ে উন্নীত হচ্ছে বলে মেট্রো সূত্রের খবর।
ইতিমধ্যেই এসপ্লানেড, চাঁদনি চক, সেন্ট্রাল, মহাত্মা গান্ধী রোড, গিরিশ পার্ক, শোভাবাজার-সুতানুটি, শ্যামবাজার, রবীন্দ্র সরোবর, যতীন দাস পার্ক, নেতাজি ভবন, রবীন্দ্র সদন, নেতাজি, মাস্টারদা সূর্য সেন, গীতাঞ্জলি, কবি নজরুল এবং শহীদ ক্ষুদিরাম স্টেশনে ওই আলোর বদল ঘটেছে। সেখানকার প্ল্যাটফর্মে আগের চেয়ে এখন আলোর গুণগত মানের ফারাক দেখে খুশি নিত্যযাত্রীদের একাংশ। কারণ, বেশি তীব্রতার আলোয় প্ল্যাটফর্ম এবং সেখানে বসানো বিভিন্ন সঙ্কেত চিহ্ন আরও ভাল ভাবে চোখে পড়ছে বলে মনে করছেন তাঁরা।
উল্লিখিত স্টেশনগুলির প্ল্যাটফর্মে সাদা উজ্জ্বল আলো (কুল লাইট) এবং প্রবেশপথ, মেজ়েনাইন ফ্লোর, সাবওয়ের মতো অংশে কিছুটা হলুদাভ আরামদায়ক আলো (ওয়ার্ম লাইট) ব্যবহৃত হয়েছে বলে মেট্রো সূত্রের খবর। নতুন আলোয় প্ল্যাটফর্মে আলোর মাত্রা বেড়েছে। সাধারণত বিমানবন্দরের টার্মিনালে ন্যূনতম ১৫০ লাক্স মাত্রার আলো থাকে। আলোর তীব্রতা বা মাত্রা মাপার একক অনুযায়ী, কোনও একক ক্ষেত্রফলে যতটা আলো পড়ে, তাকে লাক্স বলে।
নয়া প্রযুক্তির এলইডি আলো ব্যবহার করায় আলোর তীব্রতা (যা অতীতে ১৫০ লাক্সের নীচে ছিল) বেড়ে ২৫০-৫০০ লাক্স মাত্রার মধ্যে এসেছে। মেট্রো কর্তৃপক্ষের দাবি, এর ফলে প্ল্যাটফর্মের দৃশ্যমানতা বাড়ছে। স্টেশনের ভিতরে সিসি ক্যামেরার ছবিও তুলনায় পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে। বিষয়টি নজরদারি ও সুরক্ষার দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি, আলোর উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও সাহায্য করে। নতুন আলোর ঔজ্জ্বল্য ৪০-৬০ শতাংশ পর্যন্ত বেশি। ফলে আগের প্রত্যেকটি ১০০ লুমেন/ওয়াট মাত্রার আলোর থেকে এখন প্রায় ১৬০ লুমেন/ওয়াট পর্যন্ত আলো মিলছে।
তবে পার্ক স্ট্রিট, মহানায়ক উত্তমকুমার, দমদম, বেলগাছিয়া, দক্ষিণেশ্বর, কবি সুভাষ স্টেশনে এখনও আলো বদলের কাজ বাকি রয়েছে। পার্ক স্ট্রিট, মহানায়ক উত্তমকুমার, কবি সুভাষের মতো স্টেশনে সাইড বা থ্রু প্ল্যাটফর্ম থাকায় যাত্রী সুরক্ষার স্বার্থে ওই কাজ দ্রুত শেষ করা জরুরি। মেট্রোকর্তাদের দাবি, সব ঠিক থাকলে জুলাইয়েই এই কাজ শেষ করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy