প্রতীকী ছবি।
নিউ টাউনে এক গৃহবধূ খুনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই রহস্যের কিনারা করল বিধাননগর পুলিশ। ঘটনায় ওই গৃহবধূর এক সহকর্মীকে বুধবার রাতে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতের নাম সন্তু কোলিয়া (২৯)।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সকালে নিউ টাউনের যাত্রাগাছিতে রেখা রায় সমাদ্দারের (৩২) দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। বিছানায় পড়ে ছিল রেখার দেহ, পাশে মিলেছিল একটি বালিশ। প্রাথমিকতদন্তে পুলিশের অনুমান ছিল, বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে ওই মহিলাকে। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, শুলংগুড়ি এলাকার বাসিন্দা ছিলেন রেখা। কিন্তু স্বামী তপন রায়ের সঙ্গে অশান্তি চলায় তিনি গত কয়েক মাস ধরে যাত্রাগাছিতে তপন ব্যাপারী নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে ভাড়ায় থাকতে শুরু করেন। বুধবার তপনবাবুই রেখার দেহটি প্রথম দেখে পুলিশে খবর দেন। নিউ টাউনের ডিএলএফ২-তে একটি বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষী এজেন্সিতে কাজ করতেন রেখা। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, সেখানেই সহকর্মী সন্তুর সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্ব তৈরি হয়। দু’জনের সম্পর্ক ঘিরেই রেখার পরিবারে অশান্তি দেখা দিয়েছিল বলে পুলিশকে জানান তাঁর স্বামী। এর পরে তদন্তকারীরা মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত রেখার ঘরে কারা কারা গিয়েছিলেন, তার খোঁজ নিতে শুরু করেন। সেই সূত্র ধরেই উঠে আসে সন্তুর নাম।
এর পরেই গাইঘাটা থানা এলাকার গোপালপুর গ্রামের বাসিন্দা সন্তুকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। কিন্তু তার বয়ানে একের পর এক অসঙ্গতি পান তদন্তকারীরা। দফায় দফায় জেরার মুখে সন্তু খুনের কথা স্বীকার করে নেয় বলে দাবি পুলিশের। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার অফিস থেকে রেখা এবং সন্তু একসঙ্গে যাত্রাগাছির বাড়িতে যান। সেখানে রেখাকে বিয়ে করার জন্য চাপ দিতে থাকে সন্তু।
তাই নিয়েই দু’জনের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝগড়া চলাকালীন উত্তেজিত হয়ে সে বালিশ চাপা দিয়ে রেখার মুখ বন্ধ করার চেষ্টা করে বলে জানিয়েছে সন্তু। এর পরেই রেখা জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। ভয় পেয়ে সন্তু ওই বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়। তবে তদন্তকারীদের একাংশের কথায়, জিজ্ঞাসাবাদে সন্তু যা যা তথ্য দিয়েছে, তা সব দিক থেকে যাচাই করে দেখা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy