কাশী বোস লেনে রাস্তা খনন করতেই বেরিয়ে এল দেহ। — নিজস্ব চিত্র।
কলকাতার কাশী বোস লেনে রাস্তা খুঁড়তেই বেরিয়ে এল এক মহিলার দেহ। কার দেহ, কে সেখানে রেখে গিয়েছেন, খোঁজ করছে পুলিশ। দেহটি বেশি পুরনো নয় বলেই আপাত ভাবে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু উত্তর কলকাতার এমন ব্যস্ত এলাকায় দেহটি কী ভাবে এল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কত দিন ধরেই বা এই দেহ রয়েছে, উঠছে সেই প্রশ্নও। মৃত পুরুষ না কি মহিলা, মৃত্যুর কারণ জানতে দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য আরজি কর হাসপাতালে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্ত বিশেষজ্ঞ নিশ্চিত করেছেন যে, রাস্তা খুঁড়ে যে দেহ মিলেছে, তা এক জন মহিলার। মৃতার বয়স ৪০ থেকে ৪৫ বছর। দেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন মেলেনি।
পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে দুপুর ৩টে ৪৫ মিনিট নাগাদ কাশী বোস লেন এবং বিধান সরণির ক্রসিংয়ে রাস্তা খনন করা হয়। খনন করতেই বেরিয়ে আসে পচাগলা দেহটি। দিন কয়েক আগে ওই এলাকায় জল সরবরাহের জন্য কাজ করছিল কলকাতা পুরসভা। তখন খনন করা হয়েছিল রাস্তাটি। কী ভাবে সেখানে দেহটি এল, সেই প্রশ্নই উঠছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার দুপুরে ওই এলাকায় কটু গন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল। তখন পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়। স্থানীয় বাসিন্দা বেণীমাধব চৌধুরী বলেন, ‘‘শনিবার দুপুরে গন্ধ বার হচ্ছিল। কাছে গিয়ে দেখি দেহ পড়ে রয়েছে। এর পরেই ১০০ ডায়াল করে থানায় খবর দিই।’’ পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। রাস্তার ওই অংশ ঘিরে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা বিনোদকুমার বারুই বলেন, ‘‘কিছু দিন আগে এই রাস্তা খুঁড়ে জল সরবরাহের জন্য কাজ হয়েছে। তার পর রাস্তায় মাটিচাপা দেওয়া হয়। ১০ তারিখ বৃষ্টি হয়। হতে পারে ধস নেমে ওই মহিলা পড়ে গিয়েছেন।’’ তিনি এ-ও দাবি করেছেন যে, পাশের গলিতেও ধস নেমে এ রকম গর্ত হয়েছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘‘হয়তো ঠিক করে কাজ করা হয়নি। শনিবার গন্ধ বার হচ্ছিল। পুলিশ এসে উদ্ধার করে দেহ। দু’-তিন দিন ধরে হয়তো দেহটি পড়ে ছিল।’’
সম্প্রতি কাশী বোস লেনের ওই রাস্তা খনন করেছে পুরসভা। খননকারীদের মধ্যে ছিলেন মোরসালিম নামে এক কর্মীও। তিনি বলেন, ‘‘রাস্তা খুঁড়েছিলাম জলের লাইনের জন্য। গর্ত হয়েছিল, পরে তা বুজিয়ে দিই। কিন্তু তার ভিতর কেউ পড়ে যেতে পারেন না।’’ শনিবার দুপুরে ওই এলাকা থেকে পচা গন্ধ বার হওয়ার পর কাউন্সিলরের পরিচিত এক জন তাঁকে ডেকে আনেন। তার পর গর্ত খনন করে ওই দেহ উদ্ধার হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy