ফের খুলল বীনাপাণি দেবীর বন্ধ ঘরের দরজা। —নিজস্ব চিত্র।
মতুয়া ঠাকুরবাড়িতে বড়মা বীনাপাণি দেবীর বন্ধ ঘর ‘দখলমুক্ত’ করা হল। বাগদা বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে জয়ী হওয়ার পরেই তৃণমূল প্রার্থী তথা মমতাবালা ঠাকুরের কন্যা মধুপর্ণা ঠাকুরের অনুগামীরা তালা ভেঙে বড়মার ঘরে ঢোকেন।
বাগদা বিধানসভা কেন্দ্রটি বিজেপির হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে তৃণমূল। উপনির্বাচনে জয়ী ঠাকুরবাড়ির সদস্য মধুপর্ণা। জয়ের পর বাড়ি ফিরে ‘বড়মা’ বীনাপাণি দেবীর বন্ধ ঘরের তালা ভাঙেন মধুপর্ণার অনুগামী মতুয়ারা। যদিও মধুপর্ণার মা তথা তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরের দাবি, আদালতের নির্দেশেই তাঁরা তাঁদের ঘর ফিরে পেয়েছেন।
গত ৭ এপ্রিল ঠাকুরবাড়িতে ‘বড়মা’র এই ঘরে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছিলেন বনগাঁর বিজেপি সাংসদ তথা মধুপর্ণার জ্যাঠতুতো দাদা শান্তনু ঠাকুর। তাঁর উপস্থিতিতেই মতুয়া ভক্তদের একাংশ ওই ঘরে তালা ঝুলিয়ে দেন। পরবর্তী সময়ে মমতাবালা এই নিয়ে আইনের দ্বারস্থ হন।
২০১৯ সালে প্রয়াত হন বীণাপাণি দেবী। ঠাকুরবাড়িতে যে ঘরে তিনি থাকতেন, সেই ঘরেই গত ৭ এপ্রিল দলবল নিয়ে শান্তনু চড়াও হন বলে অভিযোগ ওঠে। দাবি, শাবল, হাতুড়ি দিয়ে তিনি নিজেই তালা ভাঙেন। পরিবারের আরও কয়েক জন ছিলেন তাঁর সঙ্গে। বীণাপাণিদেবী বেঁচে থাকাকালীন তাঁর পাশের ঘরে থাকতেন ঠাকুরবাড়ির বড় বৌমা মমতাবালা। বর্তমানে তিনি থাকেন বীণাপাণিদেবীর ঘরটিতেই। মমতাবালা দাবি করেছিলেন, শান্তনু ঘর ‘দখল’ নেওয়ার পর সারা রাত তাঁকে ও তাঁর মেয়েকে বাইরেই থাকতেই হয়েছে। পরে শান্তনু-ঘনিষ্ঠ কয়েক জন মতুয়াভক্ত সদর দরজায় তালাও লাগিয়ে দেন। এই ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে দাদা শান্তনুর বিরুদ্ধে ধর্না-অনশনে বসেছিলেন মমতাবালার কন্যা মধুপর্ণা।
ঠাকুরবাড়ির ঘরোয়া কোন্দলকে আরও উস্কে দিয়ে ২৫ বছর বয়সি মধুপর্ণাকে বাগদা বিধানসভা উপনির্বাচনে প্রার্থী করে তৃণমূল। ফলাফল বলছে, ৩০ হাজারেরও বেশি ভোটে বিজেপি প্রার্থী বিনয় কুমার বিশ্বাসকে হারিয়ে দিয়েছেন মধুপর্ণা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy