Advertisement
০৩ অক্টোবর ২০২৪
Bansdroni Student Death

বাঁশদ্রোণীতে চাপা ক্ষোভ, বেড়েছে পুলিশের টহলও, অন্তরালে থেকেই খোঁজ রাখছেন কাউন্সিলর অনিতা

বাঁশদ্রোণীতে বৃহস্পতিবার নতুন করে উত্তেজনা তৈরি না হলেও এলাকায় চাপা ক্ষোভ রয়েছে। সকাল থেকেই দফায় দফায় চলছে পুলিশের টহলদারি। এখনও অন্তরালেই রয়েছেন এলাকার তৃণমূল কাউন্সিলর।

বাঁশদ্রোণীতে ছাত্রের মৃত্যুর পর এখনও এলাকায় যাননি তৃণমূল কাউন্সিলর অনিতা কর মজুমদার।

বাঁশদ্রোণীতে ছাত্রের মৃত্যুর পর এখনও এলাকায় যাননি তৃণমূল কাউন্সিলর অনিতা কর মজুমদার। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০২৪ ১৫:৫৯
Share: Save:

বুধবার সকালের ঘটনা। বৃহস্পতিবার বিকেল গড়িয়ে গেল, তবু বাঁশদ্রোণীতে নিজের এলাকায় দেখা গেল না তৃণমূল কাউন্সিলর অনিতা কর মজুমদারকে। বুধবার সারা দিন তাঁর সঙ্গে দেখা করতে চেয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সন্ধ্যার পর পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। কাউন্সিলর বৃহস্পতিবারও এলাকায় যাননি। তাঁকে ফোনেও পাওয়া যায়নি। কাউন্সিলরের দফতর সূত্রে খবর, তিনি এলাকার খোঁজ রাখছেন। তবে এখনও অন্তরালেই রয়েছেন। এলাকায় সাধারণ মানুষের সামনে এখনই তিনি আসতে চাইছেন না।

বাঁশদ্রোণীর যে এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে, তা কলকাতা পুরসভার ১১৩ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত। অভিযোগ, দীর্ঘ দিন ধরে ওই এলাকায় রাস্তা বেহাল। সেখানে খোঁড়াখুঁড়ির কাজও চলছে অনেক দিন ধরে। তার ফলেই বুধবারের দুর্ঘটনা বলে দাবি বাসিন্দাদের। দিনভর উত্তপ্ত থাকার পর বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বাঁশদ্রোণী কিছুটা শান্ত। সকাল থেকেই দফায় দফায় চলছে পুলিশের টহলদারি। থানা থেকে বার বার এলাকার পরিস্থিতির খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। নতুন করে উত্তেজনা তৈরি না হলেও এলাকায় চাপা ক্ষোভ রয়েছে।

তৃণমূল সূত্রে খবর, বাঁশদ্রোণীর ১১৩ নম্বর ওয়ার্ডে দলের বার্তা পৌঁছে গিয়েছে। স্থানীয় কর্মীদের শান্ত থাকতে বলা হয়েছে। দলের নির্দেশ, এমন কিছু করা যাবে না, যাতে নতুন করে কোনও উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হয়। বিরোধীরা যাতে কোনও সুযোগ না পেয়ে যায়, সে দিকেও নজর রাখতে বলা হয়েছে দলের তরফে।

যে ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে, তার পরিবারকে আর্থিক সাহায্য করার বিষয়ে আলোচনা চলছে। সূত্রের খবর, যে সংস্থার জেসিবিতে এই দুর্ঘটনা, তারা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে এবং আর্থিক সাহায্যের ইচ্ছাপ্রকাশ করেছে। মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের তরফেও আর্থিক সাহায্য করা হতে পারে মৃতের পরিবারকে। তবে আপাতত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার দিকেই নজর রয়েছে প্রশাসনের। ক্ষোভ প্রশমিত হলে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হতে পারে।

বুধবার সকালে জেসিবির পে লোডারের ধাক্কায় গাছের সঙ্গে পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় বাঁশদ্রোণীর নবম শ্রেণির পড়ুয়ার। তার পর এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল। সকাল থেকে দফায় দফায় পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় উত্তেজিত জনতা। পাটুলি থানার ওসিকে কয়েক ঘণ্টা এলাকায় আটকে রাখা হয়েছিল। কাদাজলে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছিল তাঁকে। পরে ঘটনাস্থলে যান কলকাতা পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার প্রদীপ ঘোষাল এবং ডিসি (দক্ষিণ শহরতলি) বিদিশা কলিতা দাশগুপ্ত। সন্ধ্যার পর পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে। পরে রাতে বাঁশদ্রোণী থানায় গিয়ে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। নেতৃত্বে ছিলেন প্রাক্তন সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। রাতভর থানায় ধর্না দেন তিনি। সকালে পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে রূপাকে গ্রেফতার করা হয়। বাঁশদ্রোণীর ছাত্রমৃত্যু-কাণ্ডে এখনও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE