রুদ্ধপথ: কাজ চলছে এই রাস্তায়। তাই দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ পথ। ছবি: শশাঙ্ক মণ্ডল
শুধু বর্ষা নয়। ভাঙাচোরা এই রাস্তা বছরের পর বছর ধরে একই অবস্থায়। এর জেরে রীতিমতো হতাশ ইস্টার্ন মেট্রোপলিটন বাইপাস সংলগ্ন কালিকাপুরের মাদুরদহ-হোসেনপুর এলাকার বাসিন্দারা। এক বাসিন্দার কথায়, দশ বছর আগেও অবহেলিত ছিল এই রাস্তা। গত কয়েক বছর ধরে রাস্তার কাজ চলছে, তবুও এই দুর্বিষহ ছবি।
কলকাতা পুরসভা সূত্রের খবর, মাদুরদহে জল জমার সমস্যা দীর্ঘ বছরের। কারণ, ওখানকার ভৌগোলিক চরিত্র। এলাকাটি নিচু হওয়ায় বৃষ্টিতে জল জমে যায়। কান পাতলে এ-ও শোনা যায়, বর্ষার সময়ে অন্যত্র চলে যান বাসিন্দাদের অনেকেই। বর্ষা শেষ হলে ফিরে আসেন তাঁরা। যদিও প্রায় এমনই ভৌগোলিক চরিত্র সত্ত্বেও এক দশক আগেই বদলে গিয়েছে বাঙুরের জল-ছবি। দক্ষিণ দমদম পুর এলাকার এই দৃষ্টান্তকে অবশ্য অনুসরণ করেনি কলকাতা পুরসভা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, কালিকাপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে একটু এগোলেই বেরিয়ে আসবে রাস্তার কঙ্কালসার চেহারা। গত কয়েক বছর ধরে সেখানে রাস্তার সংস্কার চলছিল। সে কাজ শেষ হলেও সম্প্রতি কালভার্ট তৈরির কাজ শুরু করেছে কেএমডিএ এবং রাজ্য সরকার। এ জন্য ফের
রাস্তা খোঁড়ায় ফিরে এসেছে ভাঙাচোরা চেহারা। রাস্তায় আলো না থাকায় সন্ধ্যার পরে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয় বলে দাবি তাঁদের। কিছু দিন আগে পর্যন্ত কালিকাপুর বাসস্ট্যান্ড লাগোয়া ওই রাস্তায় ছোট গাড়ি যেত। এখন আর যায় না। শুধুই সাইকেল এবং মোটরবাইক চলছে ওই রাস্তা দিয়ে। অনন্ত কাল ধরে লাগানো রয়েছে ‘নো এন্ট্রি’ বোর্ড।
সমস্যার কথা মানছেন স্থানীয় ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শ্যামল বন্দ্যোপাধ্যায়। কাজের গতি শ্লথ হওয়ার জন্য তিনি কাঠগড়ায় তুলছেন পণ্য পরিষেবা করকে (জিএসটি)। তাঁর দাবি, ‘‘সবটাই তো উন্নয়নের স্বার্থে। তবে জিএসটি-র কারণে জিনিসের দামে বেড়ে যাওয়া দেরির অন্য কারণ।’’ এর জেরে প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ টাকার পরিমাণও বদলাচ্ছে বলে দাবি সংশ্লিষ্ট কর্তাদের। আলোর সমস্যা কেন? কাউন্সিলরের আশ্বাস, ‘‘মাদুরদহ-হোসেনপুর এলাকার ছবি বদলাচ্ছে। আগামী বছরের মধ্যে রাস্তা থেকে আলো— সব কাজই শেষ হয়ে যাবে।’’
যদিও শুকনো আশ্বাসে চিঁড়ে ভিজছে না। বাসিন্দারা বলছেন, ‘‘এ তো মৌখিক আশ্বাস। বছরের পর বছর ধরে তো এখানে উন্নয়নই চলে। তবে তার সুফল এখনও পাইনি আমরা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy